খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ,১৯ আগস্টঃ প্রায় দুমাস পেরিয়ে গেলেও এখন অব্দি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হীন অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে নানান সমস্যার মধ্যে সম্মুখীন হতে হচ্ছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। প্রচলিত পাঠ্যক্রমের বাইরে আগস্ট থেকে স্নাতক এ নয়া শিক্ষানীতি তে পঠন-পাঠন চালু হয়েছে। যার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমোদন প্রয়োজন এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় দৈনন্দিন কাজকর্ম বিশেষ করে কোন উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার নির্ধারিত সময় থেকে পঠন পাঠন সব ক্ষেত্রেই উপাচার্যের সিদ্ধান্ত জরুরী। উচ্চ শিক্ষা দপ্তর ও রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের সংঘাতের আবহে উপাচার্য্যহীন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
১ জুন ২০২৩ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নেই উচ্চ শিক্ষা দপ্তর পক্ষ থেকে উপাচার্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি কাউকে তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও ডেপুটি রেজিস্টার তারাই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছে। উপাচার্য না থাকার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলিতেও পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দাঁড়িয়েছে। চিন্তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুটি হোস্টেলের শুভ উদ্বোধন কয়েক মাস আগে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন কিন্তু আজকে হোস্টেলের ভবন তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে কিন্তু এখনো হোস্টেল চালানো হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই ভাড়া বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। হোস্টেল পরিষেবা দ্রুত চালু হওয়ার বিষয়ক দাবি জানাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা পাশাপাশি দ্রুত উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করুক সে বিষয়ে তারা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।
যদিও এই বিষয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার রাজিব পতিতুন্ডী জানান, আগামী ১ জুন থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নেই তা সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম পাঠন ভালোভাবেই চলছে। ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে যেসব কাজে অনুমোদন দরকার যেখানে উপাচার্যের উপস্থিতি খুবই দরকার সেসব কাজগুলি আপাতত করা হচ্ছে না বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ও ছাত্রদের হোস্টেল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে আমরা আশা করছি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই হোস্টেল পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তবে যাদবপুরের যে র্যা গিং এর বিষয়টি সামনে এসেছে এটি খুব দুঃখজনক ঘটনা। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টি রেগিং কমিটি রয়েছে যেহেতু আমাদের এখানে হোস্টেল পরিষেবা এখনো চালু হয়নি।
সে ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগিং এর কোন বিষয় নেই। হোস্টেল পরিষেবা চালু হলে রানিং-এর বিষয়টি আমরা মাথায় রাখবো। আমাদের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে আরও বেশ কিছু জায়গায় সিসিটিভি নেই তবে উপাচার্য দায়িত্ব নিলে হয়তো সে সব জায়গাতেও সিসিটিভি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেই। বিষয়টি রাজ্যপাল জানেন তিনি এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল কে আমরা ধিক্কার জানাই। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেই বলেই আমাদের হোস্টেল পরিষেবাটি চালু হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা যুব মোর্চার সভাপতি রাজিব চম্পটি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এ উপাচার্য না থাকার কারণে ছাত্রছাত্রী রা খুব সমস্যায় পড়েছে। হোস্টেল এখনো অব্দি চালু করতে পারল না। আমাদের দাবি অবিলম্বে উপাচার্য এবং হোস্টেল পরিষেবা চালু হোক।