কোচবিহারের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে পুরপ্রধানের কাছে স্মারক লিপি জমা দিল বিজেপি!

19

খবরিয়া নিউজ ডেস্ক, ১৭ই আগস্টঃ বেহাল পৌর পরিষেবা উন্নতি দাবিতে এবং পুরনো বাড়িঘর সংস্কারের ক্ষেত্রে নতুন করে পৌর কর চালু করার বিরুদ্ধে সহ সাত দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিল বিজেপি।এদিন তারা কোচবিহার জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে মিছিল করে কোচবিহার শহর পরিক্রমা করে পৌরসভার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখায় কোচবিহার জেলা বিজেপির নেতাকর্মীরা। ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু, সাধারণ সম্পাদিকা  মিনতি দাস ইশোর উত্তর শহর মণ্ডলের সভাপতি প্রতীপ রায় বসুনিয়া সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এদিন পাঁচজনের প্রতিনিধি গিয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কে স্মারকলিপি দেন।তাদের দাবি গুলি হল

১. বর্তমান পৌর বোর্ড পুরনো বাড়িঘর সংস্কার ও ঘরের টাইলস মার্বেল পাথর রান্নাঘরে চিমনি ইত্যাদি বসানোর ক্ষেত্রে নতুন কর মোটা অংকের পৌরকার লাগুক করতে চলেছে। সেই কর বাতিলের দাবি।

২. শহরের নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে সামান্য বৃষ্টিতেই ব্রেন গুলি উঠেছে রাস্তায় সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে যায় বহু সময় ধরে সেই জল জমা থাকে বেশিরভাগ মানুষ নিচু তলার ঘরেও জল ঢুকে যায় বর্ষাকাল এখন শহরের নাগরিকদের কাছে বিভীষিকার সমান।তাই ড্রেনগুলো নির্মাণ কাজ অনেক ক্ষেত্রেই অত্যন্ত নিম্নমানের ড্রেনের ধারগুলো ভেঙে , ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে আছে,এইসব জায়গায় নোংরা আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। সেখানে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটে চলেছে। ডেঙ্গুর আবির্ভাব হচ্ছে। এই ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার কোন উপযুক্ত ভূমিকা এখনো নজরে  আসেনি। তাই আমাদের দাবি পৌরসভা কে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ড্রেনগুলো অবিলম্বে পরিষ্কার করতে হবে এবং নিকাশী নালাগুলোকে মেরামত করে জল বহনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা সেই সঙ্গে আরও দাবি করছি যে পৌরসভা অবিলম্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রেনগুলোতে মশা নিধনের ঔষধ ব্যবহার করুক।

৩. পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত রাস্তাঘাট গুলি বেশিরভাগই ভাঙাচোরা, চলার অযোগ্য। এই ভাঙাচোরা রাস্তায় মাঝে মাঝে, ছোটখাটো মাঝারি মাপের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে এবং যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পৌরসভা কে এই রাস্তাগুলো অতিসত্বর মেরামত করতে হবে।

৪. রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পথবাতি গুলো দিনের পর দিন খারাপ হয়ে আছে, ঠিকঠাক চলছে না। বহু এলাকার রাস্তায় তাই রাত্রিবেলা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। সেইসব এলাকায় অনেক জায়গায় অসামাজিক কাজকর্ম হয়। পৌরসভার এই বিষয়ে উদাসীনতা আমরা মানছি না। আমরা দাবী জানাচ্ছি অতিসত্বর সেই সব বিকল হওয়া পথবাতি গুলো পরিবর্তন করে নতুন করে পথবাতি লাগাতে হবে।

৫.. কোচবিহার রাজার শহর,এই শহর এখন হেরিটেজ শহরের তকমা পেয়েছে। রাস্তা ধরে যত্রতত্র আবর্জনা, স্তূপ ও নোংরা জমে থাকে। ঠিকঠাক পরিষ্কার করা হয় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা দাবি করছি পৌরসভার ঠিকঠাক নিয়মিত আবর্জনা সাপাই করুক।

৬.. মহারাজাদের আমলে তৈরি ভবানীগঞ্জ বাজারে অবস্থা খুবই খারাপ। সেই বাজারে যখন তখন ছাদের প্লাস্টার চামোর ভেঙে পড়ছে। যেকোনো সময়ে ব্যবসায়ী বা দোকানদাররা আহত হতে পারে। সেই ভবানীগঞ্জ বাজার দ্রুত সংস্কারের দাবি করছি।

৭.. পথচারীদের সুবিধার জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করা দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এ পৌরসভা উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে কিছু দোকানদারদের ফুটপাত থেকে উঠিয়ে দিচ্ছে। আর কিছু কিছু দোকানদারদের গায়ে আচও লাগতে দিচ্ছে না। আমাদের দাবি যে নিরপেক্ষভাবে ফুটপাত দখল করে থাকা দোকান তুলতে হবে এবং তাদের মধ্যে দরিদ্র দোকানদারদের পুনর্বাসন দিতে হবে। মূলত এই সাত দফা দাবি নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে কোচবিহার পৌরসভা অভিযান করা হয়। এবং সেখানে গিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।