খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৯ আগস্টঃ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ও পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রীর ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসির হায়দার। শনিবার অধীররঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। ইয়াসির যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।তিনি রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সদর কার্যালয় বিধান ভবনে পৌঁছন ইয়াসির। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন ইয়াসির। যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজার মধ্যেই এই খবর তাৎপর্যূপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন অধীর চৌধুরীর পাশে বসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইয়াসির বলেন, ‘মানুষের কাজ করার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলাম। মনে হয় কংগ্রেস থেকে রাহুল গান্ধী ও অধীর চৌধুরী নেতৃত্বে মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। কংগ্রেস ভেঙেই তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল। তাই এই দলের যোগ দিলাম।’
ইয়াসির আরও বলেন, ‘তৃণমূলে থেকে আমি কাজ করতে পারছিলাম না। কোনও দুর্নীতিতে আমার নাম জড়িত ছিল না। এতদিন ধরে রাজনীতি করেছি, এখন রক্তে মানুষের সেবা রয়েছে। ২০১৯ সালে আমাকে কেন যুব তৃণমূলের সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, তা আমি বুঝতে পারলাম না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বেকে জিজ্ঞেস করেও কোনও উত্তর পাইনি। সেই কারণে অধীরদার ডাকে সাড়া দিয়ে আমি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিন ইয়াসেরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ও কিছু না। কজন চেনে এঁদের!’ খুব কী ভুল বলেছেন কুণাল? আপনারা যারা এই খবরটা পড়ছেন তাঁরাও কেউ কোনওদিন ইয়াসেরের নাম শুনেছেন ? চেনেন তাকে? দেখেছেন কোনওদিন রাজনীতির ময়দানে? উত্তর আপনারা নিজেরাই পেয়ে যাবেন।
২০২১ সালে টিকিট না পেয়ে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ইয়াসির। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। ববির জামাই লেখেন, ‘যারা দিন রাত দলের কাজ করে তাদের কেউ পাত্তা দেয় না। টিকিট নিয়ে যায় সেলিব্রিটিরা।’
প্রসঙ্গত, ববির সঙ্গে তাঁর জামাইয়ের সম্পর্কের অবনতির খবর বছর কয়েক আগে শিরোনামে আসে। সে সময় যাদবপুর থানার পুলিশ ইয়াসিরকে আটকও করে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।