খবরিয়া নিউজ ডেস্ক, ১৮ই আগস্টঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবারই মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলি পথে নেমেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিভিপির অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল যাদবপুরে। সেই বিক্ষোভেই যোগ দিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাজির হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তিনি পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেছেন কোন প্রাইভেট এজেন্সি দিয়ে পুরো ঘটনা তদন্ত করা হোক যারা যারা কলেজে ড্রাগস সাপ্লাই করে এবং যারা যারা ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক মেন্টালি টর্চার করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হোক। তিনি কড়া ভাষায় মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করেছে, বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করতে না কারণ মমতা ব্যানার্জি চান না তার পার্টির ওপর খারাপ প্রভাব পড়ুক। মমতা ব্যানার্জি পুরো বিষয়টি এখন ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে কিন্তু এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে পার্থেনিয়াম নামক বিষাক্ত বিষ রয়েছে সেটিকে দ্রুত উৎঘাট করতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন। এই মৃত্যুকে আমরা স্বাভাবিক বলে মনে করব না এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদিন ধরেই এই রেগিং চলছে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষদের নচেৎ আমাদের এই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার আন্দোলন চলতে থাকবে। প্রাক্তন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন কিভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি, এবং তিনি বামপন্থী ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার মনিব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেন। তিনি মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করে বলেন তিনি ১২ বছর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে ধ্বংস করেছেন তার কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কোন সুবিচার পাবে না। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার পক্ষ থেকে তাদের আন্দোলন জারি থাকবে।