খবরিয়া নিউজ ডেস্ক, ২১ শে আগস্টঃ এক স্কুল পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে যাদবপুর কাণ্ডের ছায়া। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের হারুডপয়েন্ট কোস্টাল থানার স্টিমারঘাট এলাকায়। এই ঘটনায় প্রতিবেশী দুই সিনিয়র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে হেনস্থা, শাসানি, বাড়িছাড়া করার হুমকির পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ দায়ের মৃত ছাত্রের পরিবারের। গত ২৭ জুলাই থানায় এফআইআর হলেও ঘটনায় জড়িত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মৃত ছাত্রের পরিবার। পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ পরিবারের। মৃত ছাত্র সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরে দশম শ্রেনীর ছাত্র।
মৃত ছাত্রের বাবা জয়ন্ত ধর বলেন, ‘১৬ জুলাই আমার ছেলে আত্মহত্যা করে। পরে ছেলের বন্ধুদের থেকে একটি ভিডিয়ো হাতে আসে। যেখানে আরও একদল ছাত্রকে জোর করে প্রণাম করতে বাধ্য করা হচ্ছিল আমরা ছেলেকে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই ছাত্ররা অন্য স্কুলের সিনিয়র। কোচিং সেন্টারে আমরা ছেলেকে নির্যাতন করা হত, ফোন করে ভয় দেখানো হত। সেই কারণে অবসাদে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশকে জানানোর পরও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা চাই দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক। যাদবপুরের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও পার্থক্য নেই।’
‘যাদবপুরে যে ঘটনা হয়েছে, একই জিনিস আমরা ছেলের সঙ্গে হয়েছে। যারা এরম করছে আমরা ছেলের সঙ্গে, আমি চাই তাদের শাস্তি হোক। অনেকবার পুলিশের কাছে গিয়েও কোনও লাভ পাইনি। যাদবপুরের ঘটনায় পুলিশ তো সাহায্য করছে। কিন্তু আমাদের কোনও সাহায্য করা হয়নি। আমরা চাই দোষীরা যাতে শাস্তি পায়। পুলিশ যেন দোষীদের ধরতে আমাদের সাহায্য করে।’
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে। র্যা গিংয়ের কারণে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খুনের মামলার রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও বর্তমান পড়ুয়া মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে মৃত্যুর হল পড়ুয়ার? খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই ধৃত পড়ুয়াদের বয়ান থেকে পাওয়া গিয়েছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নতুন কোনও দিক উঠে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার।
