তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকারের মৃ*ত্যুর ১২ দিনের মাথায় মালদায় ফের শু*ট আউট, মৃ*ত তৃনমূল কর্মী হাসা শেখ, আ*হত ২ জন

13

মালদা, ১৪ জানুয়ারিঃ মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকারের মৃত্যুর ১২ দিনের মাথায় মালদায় ফের শুট আউট। এবার নিশানা কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের নওদা যদুপুর এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বকুল শেখ এবং আরও এক তৃণমূল কর্মী এসারুদ্দিন শেখ। অন্যদিকে, গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাসা শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর। এরপর আহতদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ওই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে মালদার কালিয়াচকে নয়া বস্তি এলাকায় ড্রেন ও রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন বকুল শেখ। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মালদাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের জন্মলগ্নের সৈনিক দুলাল সরকার। তাঁর মৃত্যুর পর জেলার পুলিশ প্রশাসনের উপর প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার পর দুই সপ্তাহও কাটল না, ফের শুটআউট মালদাতে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ প্রশাসনের উপর একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠছে। কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে? কেন বারবার টার্গেট তৃণমূল নেতারা? উঠছে প্রশ্ন। ইংরেজবাজারের কাউন্সিলার দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূলের শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে।

গ্রেপ্তারের পরেই নরেন্দ্রনাথকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল তৃণমূল। দিনে-দুপুরে নিজের কারখানার বাইরে দুলালের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেই মামলায় বিস্তর ধরপাকড় হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘটনার পর দু’সপ্তাহ কাটতে না কাটতে ফের সেই মালদাতেই শুট আউট। কী কারণে চলল গুলি? নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।