খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৯ জুলাই, কলকাতা: ত্রিপুরায় উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জন পড়ুয়ার। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৮২৮ জনের। এরা সকলেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি সম্প্রতি ২২০টি স্কুল ও ২৪টি কলেজে পড়ুয়াদের মধ্যে সমীক্ষা চালায়।
তাতে বিপুল সংখ্যায় এইচআইভি পজিটিভ পড়ুয়ার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ত্রিপুরা স্টেট এডস কন্ট্রোল সোসাইটির (টিসিএসিএস) রিপোর্টে। টিসিএসিএস-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমরা ৮২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ পড়ুয়ার নাম নথিবদ্ধ করেছি। এর মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৫৭২ জন এখনও বেঁচে আছেন এবং এখনও এই রাজ্যে আছেন। বাকিরা উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যের বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চলে গিয়েছেন বলেই খবর।’’
উত্তর-পূর্বের ছোট রাজ্য ত্রিপুরায় এইডসের থাবা গোটা দেশের জন্য দুশ্চিন্তার বলেই মনে করছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, ত্রিপুরার বহু ছাত্র-ছাত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উচ্চশিক্ষার জন্য যায়। তাদের থেকে এই ভয়ানক অসুখ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, রাজ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মাদক নেওয়ার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। মাদক নেওয়ার সময় একই সিরিঞ্জ একাধিক পড়ুয়া ব্যবহার করছে। তারফলে রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে এইচআইভি।
একজন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। সাধারণভাবে এইচআইভি সংক্রমণের উপসর্গগুলি হল জ্বর, মাথাব্যথা, ডায়েরিয়া, ওজন দ্রুত হ্রাস, পেশি-সহ গাঁটে গাঁটে ব্যথা প্রভৃতি। এরই ‘অ্যাডভান্সড স্টেজ’ হল এডস। এর অন্যতম লক্ষণগুলি হল সারা শরীরে কাঁপুনি, ঘাম, জ্বর, ডায়েরিয়া, ক্লান্তি, শরীরজু়ড়ে র্যাশ প্রভৃতি।