চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলো ৫৫০জন পড়ুয়া,ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ প্রশাসনের

80

কোচবিহার, ২১ জুলাইঃ “কোটা আন্দোলন ২০২৪” এর জেড়ে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে জারি হয়েছে কারফিউ। বন্ধ রয়েছে ট্র্যাফোর্ড ব্যবস্থা, রেল যোগাযোগ, বিভিন্ন বিমান পরিসেবাও গুলি। এমতাবস্থায় রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ফিরেছেন ৫৫০ জন পড়ুয়া। এদের মধ্যে ৩৩৮ জন ভারতীয়, ১৮৬ জন নেপালবাসী, ২৫ জন ভুটানি ও ১ জন মালদ্বীপের বাসিন্দা। এদিন ভারতে ঢুকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

রবিবার সকাল থেকেই চ্যাংরাবান্ধা চেকপোস্টে পুলিশ প্রশাসনের তরফে পড়ুয়াদের বাসে করে বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন, মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গরাই, মেখলিগঞ্জের এসডিপি‌ও আশিষ পি সুব্বা, মেখলিগঞ্জ থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। এদিন সেখানে চ্যাংরাবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ডাঃ অম্বুজকুমার ঠাকুরের নেতৃত্বে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম রয়েছে।

এদিন বাংলাদেশ থেকে আসা অসমের ডাক্তারি পড়ুয়া সেমি সুলতানা জানান, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ, যখন তখন গোলাগুলি হয়। খুব ভয়ের মধ্যেই ছিলাম। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে। ভারতীয় দূতাবাসের থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। অবশেষে নিজের দেশে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। প্রশাসনের তরফে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

ভারতের মাটিতে পা রেখেই নেপালের ডাক্তারি পড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমি সেখানে এমবিবিএস পড়ছি। প্রায় ৫ বছর ধরে রয়েছি। তাই বাংলাদেশ থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে ভারতে ফিরলাম।

এদিন মেখলিগঞ্জের এসডিপিও আশীষ পি সুব্বা বলেন, ‘এদিন যত পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে এপারে আসবে, তাদের জন্য সব রকম সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকছে। মেডিকেল চেকআপের ব্যবস্থাও রয়েছে। এরপর তাদের বাসে করে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

এবিষয়ে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গরাই বলেন, পড়ুয়াদের জন্য ১১টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক গাড়িতেই একজন করে রাজ্য পুলিশ রয়েছে। সকলকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। প্রতিবেশী দেশজুড়ে জারি কার্ফু। ইন্টারনেট থেকে যোগাযোগ টেলিকম যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। পরিবর্তী নির্দেশ দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গুলি। এমনকী হস্টেল গুলিও খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত লাগোয়া চ্যাংরাবান্ধা চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের মধ্যে যেমন ভারতীয় প্রায় ৩৩৮ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন, নেপাল থেকে ১৮৬ জন, ভুটানের ২৫ জন পড়ুয়া ও ১ জন মালদ্বীপের বাসিন্দা।