মাথাভাঙ্গা, ২৬ জুনঃ মোবাইল ফোনে প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের অন্তর্গত বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অশোকবাড়ি এলাকায়। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। পরে পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গা মর্গে পাঠায় বলে জানা গিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ।
মৃত নাবালিকা বাবার অভিযোগ,গত পরশুদিন মেজো মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। আর সেই সময়ে ওই এলাকারই এক যুবক এবং তার মা ফোন করে আমার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পাওয়ায় গতকাল মাথাভাঙ্গা থানায় মেয়ে নিখোঁজের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার কয়েক ঘন্টা পরেই সন্ধ্যাবেলা বাড়ির পাশেই একটি পুকুর থেকে মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, মেয়েকে অপহরণ করে মারধর করে মেরে ফেলেছে মেয়েরই সহপাঠি এবং তার মা। যারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। তাদের আমি কঠোর শাস্তি চাই বলে জানান নাবালিকার বাবা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি নাবালিকার দেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দেহ আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে ওই নাবালিকার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।