বর্ষায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়াপার হবিবপুরের বাসিন্দাদের একাংশের

26

মালদা, ১৯ জুলাই : এ যেন প্রাণ হাতে যাতায়াত। বর্ষায় নড়বড়ে বাঁশের মাচা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পুরাতন মালদা এবং হবিবপুরের বাসিন্দাদের একাংশের। পুরাতন মালদহ এবং হবিবপুরের সংযোগস্থাপনের জন্য টাঙন নদীর উপরে পাকা সেতুর দাবি থাকলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। তাই ফি বছর বর্ষায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়াপার কার্যত রোজনামচা হয়ে উঠেছে দুই ব্লকের চারটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বাঁশের মাচা জলে ডুবে যাওয়ায় ঘাট মালিকের তরফে দুপুরের পরে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়, দাবি গ্রামবাসীদের।

জানা যায়, পুরাতন মালদহের মুচিয়া এবং হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিচ্ছিন্ন করেছে টাঙন নদী। দুই পঞ্চায়েতের চর লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর, সিন্ধিয়া, ডোবা পাড়া, বুলবুলচণ্ডীর বাসিন্দাদের নদী পাড়াপারে শুখা মরসুমে বাঁশের মাচা এবং বর্ষায় নৌকায় ভরসা। গত দু’দিনের ভারী বৃষ্টিতে মাচার একাংশ জলে ডুবেছে। ভরা নদী সে নড়বড়ে বাঁশের মাচা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। শুনুন স্কুল ছাত্রীর নদী পারাপারের অভিজ্ঞতা।

জন্মের পর থেকে প্রাণ হাতে নদী পারাপার করতে হচ্ছে প্রবীণ নাগরিকদের। এবারও বর্ষার নৌকা এবং নড়বড়ে বাঁশের মাচায় যাতায়াত ভবিতব্য নদী পারের বাসিন্দাদের। এ বারে পাকা সেতুর ভাগ্য কী শিকে ছিঁড়বে, প্রশাসনের কী টনক নড়বে, প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।