খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৭ অগাস্ট, কলকাতাঃ এবিভিপি এবং আরএসএফ (রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্ট)-এর সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তাল হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সংঘর্ষে দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে দাবি।
প্রসঙ্গত, এদিন ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুরে ধর্নায় বসে বিজেপি যুব মোর্চা। সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে আরএসএফের বিরুদ্ধে। শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো ঘিরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুভেন্দু যাওয়ার পরই সংঘর্ষ বেধে যায়। নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠন-বিজেপির মধ্যে শুরু হয়ে যায় তুমুল সংঘর্ষ। মুহূর্তেই তা হাতাহাতিতে গড়ায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকাএক ছাত্রকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় শেষে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরএসএফের অভিযোগ বিজেপি লোকজন তাঁদের মারধর করেছে। যদিও বিজেপির দাবি, যে ছাত্রকে মার খেয়েছেন তাঁকে মেরেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের লোকজন। তাঁরা মারধর করে বিষয়টা বিজেপির উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। বিজেপির এও অভিযোগ, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদেরও এদিন ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। র্যাগিংয়ের কারণে মৃত্যু বলে অভিযোগ করে ছাত্রের পরিবার। ছেলের মৃত্যুতে হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের বাবা। এই ঘটনায় মোট নয়জন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর এবার কড়াকড়ি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্য়াম্পাসে প্রবেশে ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চালু থাকবে এই নিয়ম। বাড়ছে সিসিটিভি-র নজরদারিও।