অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর চৌধুরী

41

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১০ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। বৃহস্পতিবার সংসদে তাঁর আচরণের জন্য স্পিকার তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছেন বলে খবর। প্রিভিলেজ কমিটিতে অধীর চৌধুরী সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। পালটা রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত সংসদ থেকে সাসপেন্ড থাকবেন কংগ্রেস সাংসদ।

বৃহস্পতিবার সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে দীর্ঘ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অভিযোগ, সেসময় বারবার কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তাঁকে টিপ্পনি করছিলেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়াই বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করে প্রায়শই সভার কাজে বিঘ্ন
ঘটানোর অভিযোগ আনেন।

 এরপরই তাঁকে সাসপেনশনের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। এদিন লোকসভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি অধীর। কংগ্রেসের তরফে তিনজন বক্তৃতা দেন, গৌরব গগৈ, মণীশ তিওয়ারি এবং রাহুল গান্ধি। যদিও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা অধীরবাবুকে কথা বলার জন্য কিছুটা সময় দিয়েছিলেন।

সেই বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে অধীর বলেন, “কে বলে নীরব মোদি বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন? নরেন্দ্র মোদিই মণিপুর প্রশ্নে নীরব মোদি হয়ে এই দেশে বিরাজমান।” শুধু তা নয়, অধীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাঁদ থেকে শুরু করে কুনোর চিতা নিয়ে কথা বলেন, অথচ মণিপুর নিয়ে কথা বলার সময় নেই ওঁর।

এর পরই বক্তৃতায় অধীরের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গুড়কে কীভাবে গোবর বানাতে হয়, উনি সবচেয়ে ভাল জানেন।” সেই সঙ্গে বলেন, “কিন্তু আমার সবচেয়ে খারাপ লাগছে, অধীর চৌধুরীকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। কে জানে কলকাতা থেকে হয়তো ফোন এসেছিল! ওঁর প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।”  আর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই অধীর চৌধুরীর উপর নামল সাসপেনশনের খাঁড়া।