খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৩ জুলাই, এলাহাবাদঃ বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-কে সমীক্ষার ছাড়পত্র দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙেই ওই মসজিদ তৈরি হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখবে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতেই এই রায় বলে জানিয়েছে আদালত।
গত ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের ঠিক পাশে অবস্থিত জ্ঞানব্যাপী মসজিদে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে। সেই নির্দেশ মেনে গত ২৪ জুলাই জ্ঞানব্যাপী মসজিদের সমীক্ষা শুরু করা হয়। কিন্তু মুসলিম পক্ষ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
মুসলিমপক্ষের বক্তব্য ছিল, এর ফলে মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ওই দিনই অর্থাৎ, ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের ওই সমীক্ষা ২৬ জুলাই অবধি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এলাহাবাদ হাই কোর্টকে ওই মামলা শুনতে বলা হয়েছিল।
এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রীতিনকর দিবাকরের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে জ্ঞানবাপীর সমীক্ষা চলবে। তবে বিতর্কিত ওজুখানায় পাওয়া তথাকথিত ‘শিবলিঙ্গ’ এবং সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা হবে না বলে বারাণসী জেলা আদালত গত ২১ জুলাই যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
এ দিন এলাহাবাদ হাই কোর্টের তরফে বারাণসী আদালতের রায়কেই মান্যতা দিয়ে বলা হয়, “জ্ঞানবাপী মসজিদে এএসআই সমীক্ষা শুরু হবে। সুবিচারের জন্য এই সমীক্ষা জরুরি। নির্দিষ্ট কিছু শর্তের অধীনে এই সমীক্ষা হবে।”
প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপীতে গত বছরও একদফা জরিপ হয়েছে। তবে সেই জরিপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। প্রথমবারের জরিপের সময় মসজিদের অজুখানা থেকে উদ্ধার হওয়া পাখরখণ্ড নিয়ে তীব্র বিবাদ বাঁধে। হিন্দুপক্ষ দাবি করে পাথরখণ্ডটি একটি শিবলিঙ্গ। অন্যদিকে, মুসলিমপক্ষের দাবি, সেটি অজুখানার ঝর্নার মুখ।