খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১১ অগাস্ট, মালদাঃ পরপর তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় গৃহবধূকে শ্বাস রোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, মালদা জেলার রতুয়া থানার পাঁচপাড়া কলোনি এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত গৃহবধুর নাম ছবিনা খাতুন(২৫)। অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল হান্নান।
জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে মালদা জেলার রতুয়া থানার আলিপাড়া বাসিন্দা রফিকুল আলমের মেয়ে ছবিনা খাতুনের বিয়ে হয় পাঁচ পারা কলোনির যুবক আব্দুল হান্নানের সাথে সামাজিক মতে। বিয়ের পরেই কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তাদের পরিবারে। এরপর থেকে ছাবিনার প্রতি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আচরণ বদলাতে থাকে।
অভিযোগ, মারধর, গালিগালাজ করা হত তাঁকে। ‘পুত্র সন্তান চাই’ বলে চাপ দেওয়া হত ছাবিনাকে। এরপর ছেলের আশায় পর পর দুই বার গর্ভবতী হন ছাবিনা। কিন্তু পরের দু’বারই মেয়ে হওয়ায় স্বামী ও শ্বাশুড়ির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি শুধু নয়, তাদের অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে অশান্তি চরমে ওঠে। গৃহবধূকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর বধূকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। রাতে খবর পায় মৃত গৃহবধূর বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি ছুটে যায় মেডিক্যাল কলেজে। ততক্ষণে মৃতদেহ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
আজ মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত করা হবে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে। এবিষয়ে মৃত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।