খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৫ অগাস্ট, কলকাতাঃ সংঘাতের আবহেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আমন্ত্রণে রাজভবনের বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতা দিবসে বিকেলবেলায় রাজভবনের চা চক্রে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বিশিষ্টজনেরা।
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে প্রথামাফিক চা চক্রের আয়োজন করা হয় রাজভবনে। প্রতি বছর রাজ্যপালের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চা চক্রে যোগদানের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই রাজভবনে গেলেন মমতা। বিকেল ৫টার কিছু পরে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনা থেকে শুরু করে উপাচার্য নিয়োগ, বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি একাধিক বৈঠক ও কর্মসূচিতে গিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ চরমে পৌঁছেছে। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয় একাধিক ইস্যুতে দুই প্রধানের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে।
গতকাল কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানেও রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অশান্তি রুখতে রাজভবনে ‘পিস রুম’ খোলেন সিভি। কড়া ভাষায় এর নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রাজ্য বিধানসভার বিভিন্ন বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে আচার্য বিল।
কিন্তু সংঘাত থাকা সত্ত্বেও রীতি মেনে রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চা চক্রে যোগ দেন মমতা। মঙ্গলবার সন্ধে ছ’টার খানিকক্ষণ পরেই রাজভবন থেকে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তরে বলেন, ‘আজ কিছু বলব না। স্বাধীনতা দিবস। সকলকে শুভেচ্ছা।’
প্রসঙ্গত, সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হিসেবে বাংলার দায়িত্বে আসার পর এটাই প্রথম স্বাধীনতা দিবস। প্রশাসনের একাংশের মতে, সে কারণেই সৌজন্যবশত রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে জগদীপ ধনখড় রাজ্যের রাজ্যপাল থাকাকালীনও মমতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর সরকারের। তা সত্ত্বেও ধনখড়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে চা-চক্রে যোগ দিতেন মুখ্যমন্ত্রী।