খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৭ অগাস্ট, কলকাতাঃ অমিত শার ডাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই এসেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই নিজের বাসভবনে দিলীপের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন অমিত শা।
বৈঠকে ডাক পাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কী কারণে দিলীপকে এমন তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হল তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। গত ২৯ জুলাই দিলীপকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর একমাত্র পরিচয় হয়ে যায় মেদিনীপুরের সাংসদ। কেন দিলীপকে দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, তার কোনও কারণ কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হয়নি।
এই মুহূর্তে সাংসদ ছাড়া সংগঠনের আর কোনও পদে নেই দিলীপ। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ হারানোর পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন দিলীপ ঘোষ। এবার জাতীয় সহসভাপতি পদ যাওয়ার পর আরও কিছুটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
সদ্যই বাংলা সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মোট তিনটি কর্মসূচিতে দিলীপের সঙ্গে নাড্ডার সাক্ষাৎ হয়েছে। তবে প্রাক্তন সহ-সভাপতির সঙ্গে সভাপতির কোনও ব্যক্তিগত আলাপচারিতা বা আলাদা বৈঠক হয়নি। রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক এবং সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে নাড্ডার বৈঠকে নিয়মমাফিক হাজির ছিলেন দিলীপ। সেখানেও নাকি তিনি বিশেষ কথা বলেননি।
কেন এমন হঠাৎ করে তাঁকে ডেকে পাঠানো হল তা নিয়ে দিলীপ ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় নেতারা এটা ভাল করেই জানেন যে, বাংলায় দিলীপই সবচেয়ে ‘সফল’ নেতা। তিনি রাজ্য সভাপতি থাকার সময়েই দল লোকসভা বা বিধানসভায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল করেছে। তিনি নিজে জিতেছেন এবং দলকেও জিতিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির কোথায় কোথায় এখনও সাংগঠনিক ত্রুটি রয়েছে, তা জানতেও শাহ দিলীপকে তলব করে থাকতে পারেন বলে দলের একটি অংশের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এমনিতেই সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল দিলীপ ঘোষের। সন্ধেয় শাহের সঙ্গে দেখাও করবেন তিনি। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে ফোন করেছিল। দিল্লি যাচ্ছি। বৈঠক হবে।”