খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৯ জুলাই, জলপাইগুড়ি: জোড়া আত্মহত্যা কাণ্ডে আগাম জামিন খারিজের পর জলসাইগুড়ির তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আদালত।
জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সৈকতকে গ্রেপ্তার করতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর হয় মঙ্গলবার। প্রসঙ্গত প্রায় একমাস আগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সৈকতের আগাম জামিন খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি জামিন মঞ্জুর হয়নি এই মামলার অন্য অভিযুক্ত মনোময় সরকারেরও।
এই প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানান, তারা এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারপরেও তদন্তকারী অফিসার কেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করল বিষয়টা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। সৈকত চ্যাটার্জি নিজে একজন আইনজীবী, তিনি আইন মেনেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সুবোধ ও অপর্না ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে যান দম্পতি। সুবোধবাবুর দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ চারজনের বিরূদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর অন্য ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও সৈকতকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এর মাঝে ইন্টিরিম প্রোটেকশন দাবি করে হাইকোর্টে আপিল করেন সৈকত। সেই সময় আপাতত তাঁকে অ্যারেস্ট নয়, পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে মত দেয় হাইকোর্ট। সেইমতো জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর পুলিশের বিভিন্ন মহলে আত্মঘাতী দম্পতির একমাত্র কন্যা অভিযোগ করেন তাকে ক্রমাগত ভয় দেখাচ্ছে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সৈকত চ্যাটার্জী সহ অন্য অভিযুক্তরা। এর পরই হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তকারী অফিসার বদল ও এডিজি পদমর্যাদার কে জয়রমনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই কেসে পুলিশ সৈকত চ্যাটার্জিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে এই আদেশ দেন জলপাইগুড়ির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।