খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৩০ জুন, দক্ষিণ দিনাজপুর: বংশপরম্পরায় আজও মাদুর কাঠি চাষ ও মাদুর তৈরি করে চলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের কুশকারী এলাকার পীরপুকুর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। প্রসঙ্গত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারীর বংসারী ব্লক এলাকার বিভিন্ন জায়গাতে বিশেষ করে হরিরামপুর, কুশকারী, ধুমশা দীঘি সহ বিভিন্ন গ্রামে বংশপরম্পরাকে প্রাধান্য দিয়ে আজও মাদুর শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং রোজগারের লক্ষ্যে প্রায় শতাধিক দেবনাথ পরিবারের সদস্যরা মাদুর তৈরি করে চলেছেন।
জানা গেছে, এই এলাকার প্রত্যেকটি বাড়ির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নিজস্ব জমি বা অন্যের জমি চুক্তিতে নিয়ে মাদুরকাঠির চাষ করে মাদুর তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করছেন। আর সেই আয়ের টাকায় সংসার চলছে এলাকার শতাধিক পরিবারের। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ফাল্গুন চৈত্র মাসে জমিতে মাদুরকাঠির চাষ করা হয় এবং আশ্বিন কার্তিক মাসে সে মাদুর কাঠি জমি থেকে কেটে বাড়িতে তোলা হয়। বছরে একবার জমিতে বীজ বপন করলে তিন বছর আর করার প্রয়োজন পড়ে না সেই বীজেই নতুন মাদুরকাঠি থেকেই তারা মাদুর কেটে মাদুর তৈরি করে বাজারজাত করে বাজারে বিক্রি করবার জন্য প্রস্তুত করে। সারাদিনে খেটে প্রায় আট থেকে দশটি মাদুর তৈরি করেন তাঁরা। পাইকারি দরে ২০০ থেকে আড়াইশো টাকা হিসেবে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন হাটে বাজারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করলেও কোনরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা পাননি বলে অভিযোগও করেন ওই এলাকার একাংশ মাদুর শিল্পীরা।
এই বিষয়ে মাদুর শিল্পী সুশীল দেবনাথ জানান, “বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসা ব্যবসাকে টিকিয়ে রেখেছি। তবে বাজারে জিনিসের দাম বাড়ায় আমাদের মাদুর তৈরি করা চাষ করা বড় দুষ্কর হয়ে উঠেছে। কোনওরকম সরকারী সহযোগিতা না পাওয়ায় খুবই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। মাদুর বিক্রি করে যা আয় হয় খরচা হয় তার চেয়ে বেশি। তাই সরকারি সহযোগিতা পেলে খুব উপকার হত।”