জলপাইগুড়ি, ১৪ জানুয়ারিঃ পৌষ-পূর্ণিমায় নিরাপত্তা বজায় রেখে বৈকুন্ঠপুর গভীর জঙ্গলে আয়োজিত হল বনদূর্গার পূজা। আর প্রত্যেক বছর আজকের এই দিনেই হয় বনদূর্গার পূজা। ঠিক সেই মতো এই বছরও রীতিমেনে পুজো হল বনদূর্গার।
এই বছর বনদূর্গা পূজা ৪৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। রাজগঞ্জের ফাঁড়াবাড়ির অদূরে বৈকুন্ঠপুর গভীর জঙ্গলে বনদূর্গার পূজা হয় প্রত্যেক বছর। কথিত আছে, দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি দিল্লিভিটা চাঁদের খাল নামে পরিচিত। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘দেবী চৌধুরানী উপন্যাসেও এই স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন।
বহু বছর আগে স্থানীয়রা এখানে ঠুনঠুনিয়া মায়ের নামে পুজো করতো। একটা সময় এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ ওই বনে ভিড় করতেন। এখন সেটি বনদুর্গার পুজো নামেই পরিচিত। বর্তমানে বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলের মাঝে স্থায়ী মন্দিরে বিশেষ রীতি মেনে বনদুর্গা পূজিত হয়। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ এই পুজোয় আসেন। পুজোর দুদিন বাড়তি নজরদারি থাকে প্রশাসনের।
এই বিষয়ে বনদুর্গা পুজো কমিটির সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, এই বছর বনদূর্গার পুজো ৪৪তম বর্ষে প্রদাপন করছে। প্রতিবছর পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গভীর রাতে বনদুর্গার পূজো হয়ে আসছে। কোভিডের জন্য কয়েকবছর দিনে পূজো হলেও গতবছর থেকে রাতে পূজো করা হচ্ছে। প্রশাসনের সবরকম নিয়ম মেনেই এই পুজো করা হয়। ঠিক সেই মতো এই বছরও সমস্ত নিয়ম পালন করেই করা হচ্ছে পুজো। এদিন সকাল থেকেই প্রচুর ভক্তরা ভিড় জমান বনদুর্গার মন্দিরে, নিষ্ঠা সহকারে চলে পুজো।