মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিএসএফের তৎপরতায় উকিল বর্মণকে ছাড়তে বাধ্য হয় বাংলাদেশ সরকার:অভিজিৎ দে ভৌমিক

346

কোচবিহার, ১৫ মে: অবশেষে বাড়ি ফিরলেন শীতলকুচির কৃষক উকিল বর্মন। গত ১৬ এপ্রিল বুধবার কাঁটাতারের ওপারে নিজের জমিতে চাষের করার সময় তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশিরা। তারপর দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বিজিবি উকিল বর্মনকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজতে রাখেন। নানা টানাপোড়েনোর মধ্যদিয়ে দফায় দফায় বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সঙ্গে বৈঠক করে বিএসএফ। তারপর দীর্ঘ ২৮ দিনের মাথায় বুধবার মধ্যরাতে উকিল বর্মনকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। রাতেই বিএসএফ জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেয় উকিল বর্মনকে। এরপরেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে,বর্তমানে তিনি সুস্থই রয়েছেন।

উকিল বর্মন বাড়িতে ফেরার পর পরিবারের সকলের সাথে অভিজিৎ দে ভৌমিক

এদিন ভারতে ফিরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উকিল বর্মন জানান, আমি খুব ভালো আছি। যখন বাংলা দেশের জেলে ছিলাম তখন খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সেখানে বসে পরিবারকে নিয়ে চিন্তা করতাম। পরিবারের লোকজন যদি জমিতে যায় তাদের প্রতি যদি অন্যায় হয়। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,বিএসএফ ও পুলিশ প্রশাসন যেভাবে তৎপরতার সাথে আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলেন। তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

বিএসএফ ক্যাম্পে উকিলের পাশে অভিজিৎ দে ভৌমিক

অন্যদিকে উকিল বর্মন দেশে ফেরার খবর পেয়ে শীতলকুচিতে রাতেই ছুটে যান কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। রাতেই বিএসএফের স্থানীয় ক্যাম্পে উকিল বর্মনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সময় অভিজিৎ বাবু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে উকিল বর্মনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে শিতলকুচি ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যান পুলিশ। সেখানেও তিনি যান। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলে উকিল বর্মনকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে যান অভিজিৎ বাবু। উকিল বর্মন বাড়িতে ফিরতেই পরিবারের লোকজন খুশিতে আপ্লুত হয়ে যায়। সেই খুশির অংশীদার হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ও অন্যান্য নেতৃত্বের। পরে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন জেলা সভাপতি এবং শেষে তিনি উকিল বর্মণকে মিষ্টি মুখ করান বলে জানা গিয়েছে।

উকিল বর্মন বাড়িতে ফিরতেই মিষ্টি মুখ করাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক

এদিন উকিল বর্মন দেশে ফেরা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন,মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিএসএফের তৎপরতায় বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ সরকার আজ উকিল বর্মনকে ছেড়ে দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রায় মাস খানে আগে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজের জমিতে চাষ করতে যান উকিল বর্মন। সেখানে থেকে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা উকিল বর্মনকে তুলে নিয়ে যান। পরে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে উকিল বর্মন কে উদ্ধার করে বিজিবি। পরে বিএসএফ একাধিক বার ফ্ল্যাগ মিটিং করেন এবং আমাদের সাংসদ, মন্ত্রী, ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরাও নানা মুভমেন্ট করেন। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপে ও বিএসএফের তৎপরতায় বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি উকিল বর্মণকে ভারতে ফিরিয়ে দেন। পরে বিএসএফ রাতেই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারপর পুলিশ উকিল বাবুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। পরে আমরা উকিল বাবুকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে আসি। উকিল বর্মন বাড়িতে ফিরে আসতেই যেমন তার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী খুশি। সেই খুশির অংশীদার হতেই আজ আমরা তৃণমূল কংগ্রেস তার বাড়িতে এসেছি।