ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা আহমেদাবাদে; শোকপ্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

77

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১২ জুনঃ গুজরাটের আহমেদাবাদে ওড়ার পরের মুহূর্তেই ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বোয়িং বিমান। ভারতের বিমানযাত্রার ইতিহাসে সবচেয়ে কালো দিন আজ। যাত্রীদের বেঁচে থাকার আশা অত্যন্ত ক্ষীণ! এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,‘এই মুহূর্তে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।’

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,‘আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহতম দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত এবং স্তম্ভিত। এটা অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের সমবেদনা জানাই। যদিও সকলের জীবিত থাকার খবরের আশায় রয়েছি। বিমানের সকলের জীবিত থাকার প্রার্থনা করছি।’

তিনি আরও লেখেন,‘দুর্ঘটনার খবরে আমার অন্তরাত্মা পর্যন্ত কেঁপে গিয়েছে। যদিও হতাহতের স্পষ্ট খবর নেই। এই মুহূর্তে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।”

উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৭ নাগাদ আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ওড়ার সময় দুর্ঘটনাটি হয়। একদম বিমান বন্দরের শেষ প্রান্তে গিয়ে আগুন লাগে। মনে করা হচ্ছে, টেক অফের সময় গাছে ধাক্কা লাগে বিমানটির পিছনের অংশ। তাতেই আগুন লেগে যায়। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বিমান থেকে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মেঘানিনগর এলাকায় থাকা বিমানবন্দরের আশপাশের বাড়িও। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গোটা বিমানই প্রায় পুড়ে ছাই। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিমানের অংশ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। বিমানবন্দরের সমস্ত রাস্তা ও গেট আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

জানা যায়,আমদাবাদে ডাক্তারদের হস্টেলে ধাক্কা দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের মৃত্য়ুর আশঙ্কা। আহত ১৫ জুনিয়র ডাক্তার। সংখ্যা বাড়তেও পারে। সূত্রের খবর,দুর্ঘটনার আগে মাটি থেকে বিমানের উচ্চতা ছিল স্বল্প। লোকালয়ে বিমান ঘোরানো সম্ভব ছিল না। ডাবল ইঞ্জিন ফেলিওরই কি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ? যান্ত্রিক গোলযোগই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পরই গুজরাত সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী,ডিজির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁকে ইতিমধ্যেই আমদাবাদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ওই ঘটনাস্থলে যাবেন বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নাইডু।