কাকদ্বীপে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে নবনির্বাচিত জিএসকে ডেকে এনে মারধরের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের

13

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৭ জুলাইঃ বিজেপির অন্দরকলহ এবার প্রকাশ্যে এল কাকদ্বীপে। রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর জহরপুর এলাকায় বিজেপির নবনির্বাচিত গ্রুপ সেক্রেটারি (জিএস) অরুন সেনগুপ্তকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলেরই কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় এবং পরে ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা।

জানা গেছে, যখন অরুন সেনগুপ্তকে বিজেপির নতুন জিএস হিসেবে মনোনীত করা হয়। এরপর থেকেই ওই পদপ্রাপ্তি নিয়ে দলীয় অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হয়। অভিযোগ, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ‘পার্টির জরুরি মিটিং’-এর নাম করে অরুনবাবুকে ডেকে পাঠানো হয় মিনাল নগর হাই স্কুল সংলগ্ন বিজেপি কর্মী অমর দলপতির বাড়িতে। সেখানে কথাবার্তার পর আচমকাই শুরু হয় মারধর। চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।

অরুন সেনগুপ্ত জানান, “এই হামলার পিছনে দলেরই কিছু অসন্তুষ্ট কর্মী জড়িত, যারা পদ না পাওয়ায় বিরোধী দলের প্ররোচনায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। দলের শৃঙ্খলা নষ্ট করছে এরা, দল থেকে এদের অবিলম্বে বহিষ্কার করা উচিত।”

অন্যদিকে, অভিযুক্তদের অন্যতম অমল ঘোষ ফোনে জানান, “নতুন জিএস নানা অপকর্মে জড়িত। তাঁকে আমরা নেতা বলে মানি না। প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলনে যাব। হ্যাঁ, একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, তবে অতটা মারধর করা হয়নি।”

এদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নেতা-নেত্রীরা এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিজেপির নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মারধর হচ্ছে, আর আমাদের দোষ দিচ্ছেন! ওদের কালচারই এমন। রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের শক্ত অবস্থান আছে, বিজেপির কোনও অস্তিত্বই নেই। প্রশাসন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।”

এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে।