“অভিষেকের মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে। মমতার উচিত তাঁকে পাগলা গারদে পাঠানো,” তুফানগঞ্জে এসে বিস্ফোরক রাহুল সিনহা

95

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৪ জুলাই, তুফানগঞ্জ: “খুন, সন্ত্রাস না হলে তৃণমূল জিততে পারত না। ভোট লুট করা ছাড়া তৃণমূলের কাছে কোনো বিকল্প ছিল না। ভোট লুটের জন্য জন শক্তির কাছে তৃণমূল পরাস্ত হয়েছে। এজন্য অস্ত্র শক্তির সহায়তা তাদের নিতে হয়েছে।” পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর তুফানগঞ্জের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী কী ঘটনা ঘটেছে, কিভাবে তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে, তার খোঁজখবর দলের মণ্ডল সভাপতি ও দলীয় নেতৃত্বের কাছে নিতে এসে তৃণমূল সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।

রাহুলবাবু এদিন বিজেপির শহর মণ্ডল কার্যালয়ে দলীয় কর্মী ও নেতৃত্বের সাথে আলোচনা সারেন। এরপর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, “যখন রাজনীতির আর কিছু থাকে না। তখন এই জাতীয় নোংরা নীতিতে নামে। কারণ রাজনৈতিকভাবে তাদের কাছে কিছু নেই। ৫ আগস্ট তৃণমূল বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে। পরের দিন বাড়ির ভেতরে মহিলাদের ওপর অত্যাচার করবে। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি বাড়ি বাড়ি মহিলাদের ওপর অত্যাচার করার আন্দোলন কবে ডাকবেন? আমি তা জানতে চাই। এটা তৃণমূলের দেউলিয়ানাপনা। এরকম বাড়ি ঘেরাও রাজনীতি সারা দেশে হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “অভিষেকের মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত তাকে পাগলা গারদে পাঠানো। কারণ সুস্থ মস্তিষ্কের লোক এ ধরনের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নেবে না।” এরপর তিনি বক্সিরহাট থানার শালবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বজরা পুর গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনের বাড়ি যান।

এদিন তাঁকে বিজেপির তুফানগঞ্জ শহর মণ্ডল কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস, তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কনভেনার বিমল পাল, তুফানগঞ্জ শহর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিপ্লব চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।