বাঁকুড়া, ২৩ সেপ্টেম্বরঃ ২০২০-২১ আর্থিক বছরে এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে রাস্তা তৈরির জন্য বোর্ড পড়েছে তিন বছর আগে, এখনো তৈরি হয়নি রাস্তা, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা-বঞ্চনার অভিযোগে শাসকবিরোধী তরজা, সমস্যায় সাধারণ, ঘটনা পাত্রসায়ের থানার ঘোড়াডাঙ্গার।
জানা গেছে,বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘোড়াডাঙ্গায় মেন রাস্তা থেকে গ্রামের ভেতরে যাওয়ার জন্য রয়েছে প্রায় ২০০ মিটার একটি মাটির রাস্তা। বর্ষার সময় এক হাঁটু কাঁদা হয়ে থাকে এই রাস্তার ওপর। চরম সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামের সাধারণ মানুষের। বারংবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে জানানোর পর ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সময় মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে এলাকায় কংক্রিটের রাস্তার জন্য ১৮,২,৩০৬ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কাজের জন্য এলাকায় একটি বোর্ডও লাগানো হয়। তিন বছর পেরিয়ে যাবার পরেও আজও মাত্র এই ২০০ মিটার রাস্তা কংক্রিটের হয়নি। চরম সমস্যায় রয়েছে এলাকার মানুষজন।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি,ওই রাস্তা তৈরির জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণর পর কেন্দ্র সরকার ওই প্রকল্পের টাকা আটকে দেয়। বাংলার সাথে বঞ্চনা করে তাই এই রাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি শুধু নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নয় এই সমস্যা গোটা রাজ্যেই রয়েছে। শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারের জন্যই এই রাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই দেখা হবে ওই কাজটি কিভাবে করা যায়।
এবিষয়ে স্থানীয় তথা সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী বলেন, আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরিষ্কার করতে হবে তারা কি বলছে, যখন এলাকায় রাস্তা হয় তখন ওনারা বলেন তারা করছেন। কাজ হলে তৃণমূলের,বন্ধ হলে বিজেপির। এই সমস্যা শুধুমাত্র নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াডাঙ্গা নয় সমস্ত পঞ্চায়েতের এবং নারায়ণ পুর অঞ্চলের আরো কাজ তৃণমূল কংগ্রেসের ওই মা মাটি মানুষের সরকার তারা লুটপাট করেছে। এই রাস্তার টাকা পঞ্চায়েত নিয়ে নিয়েছে আরটিআই করলে রিপোর্ট দিচ্ছে না। কারণ ওই টাকা ওরা তুলে নিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস ভাগবাটোরা করে খেয়েছে।
এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার টাকা আটকে দেওয়া এবং রাস্তার কাজ না হওয়া নিয়ে রীতিমতো শাসকবিরোধী তরজা তুঙ্গে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুব্রত দত্ত বলেন, ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এলাকার মানুষের সমস্যার কথা ভেবে ওই রাস্তার প্রপোজাল পাঠানো হয় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জিও ট্রাকিং এর জন্য বোর্ড লাগিয়ে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠায়। তারপরেই কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা, কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে দেয় এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের টাকা।
তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, মূর্খ ও অশিক্ষিতের মত কথাবার্তা। দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, যদি এ কথা সত্য হয় তিনি দুর্নীতি প্রকাশ করুন আইন আইনের পথে চলবে আর যদি দুর্নীতি সামনে না আসে তবে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।