খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৭ অগাস্ট, বহরমপুরঃ ফের কাঠগড়ায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টায় ভাগীরথীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার রাতে উদ্ধার হল তার মৃতদেহ। বহরমপুরের সৈদাবাদের ঘটনা।
পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ওই যুবকের দেহ। পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম অতনু ঘোষ (১৯)। অতনু বহরমপুরের সৈদাবাদ এলাকার বাসিন্দা। বহরমপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার একটি চায়ের দোকানের বিবাদের জেরে পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিল কয়েকজনকে। শনিবার বেলা ১২ নাগাদ অতনু এক বন্ধুর সঙ্গে বহরমপুরের মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের মাঠে খেলাধুলা করছিল। সেই সময় সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ অতনুকে ধরে। পুলিশের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পাশের ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেয় অতনু।
রবিবার নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছে অতনুর পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই নদীতে ঝাঁপ দেয় ছেলে, তবু পুলিশ উদ্ধারের চেষ্টা করেনি। বাবা নির্মল ঘোষের দাবি, ছেলেকে পুলিশ আটক করেছিল। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল সে। এই ঘটনাকে ‘খুন’ বলেই দাবি করেছে পরিবার।
যদিও পুলিশের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে বহরমপুর পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। তবে, পুলিশ অতনু ঘোষ নামে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এমনকি আটকও করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। টহলরত পুলিশভ্যান দেখে কেউ গঙ্গায় ঝাঁপ দিলে তার দায় পুলিশের নয়।”