অনুপ্রেরণা জীবনকৃষ্ণ! বাড়িতে ইডি আসতেই বহুতল থেকে মোবাইল ছুঁড়লেন কৈখালির ব্যবসায়ী

67

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৩ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের অ্যাকশনে ইডি। মঙ্গলবার সকাল থেকে সল্টলেক–সহ কলকাতার অন্তত ছয় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্হা। সূত্রের খবর, ৮ থেকে ১০টি টিম আজ তদন্তে বেরিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, কৈখালির এক শেয়ার ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা।

অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকরিকরা হানা দেওয়ার খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে এদিন সকালে তদন্তকারীরা পৌঁছে যান ব্যবসায়ী হানিস তসরিওয়ালের বাড়িতে।

কৈখালির এক বহুতল আবাসনে হানিসের বাড়িতে যখন ইডি আধিকারিকরা ঢোকেন, তখন ৭ তলা থেকে নিজের ফোন দু’টি নীচে ছুড়ে ফেলে দেন হানিস। সেই ফোন পাশের বাড়ির ছাদে গিয়ে পড়ে। সেই দু’টি মোবাইলের একটির ব্যাক-কভারে নাকি আবার ৫০০ টাকার একটি নোটও রাখা ছিল। এই মোবাইল ফোনে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর তাই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ফোনগুলি ছুড়ে ফেলা হয়েছিল বলে অনুমান করছে ইডি।

তবে ফোন দু’টি বাজেয়াপ্ত করে সেগুলির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইডি। এর আগে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাও তথ্য লুকোতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের সামনেই তিনি আচমকা তাঁর মোবাইল ফোন দু’টি পাঁচিলের উপর থেকে পুকুরে ফেলে দেন। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে পুকুর ছেঁচতে হয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরে তিনি গ্রেপ্তার হন সিবিআইয়ের হাতে। সেই ঘটনা থেকেই কি অনুপ্রাণিত হলেন হানিস? উঠছে প্রশ্ন।

এদিকে এদিন সকাল ৭টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা। পরে জানা যায়, বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়েছেন। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।