স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে স্বাস্হ্য দপ্তরের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট, রাজ্যকে দিতে হবে ক্ষতিপূরণও

19

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৬ জানুয়ারি, কলকাতা: স্যালাইন নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে।

বিচারপতিরা জানিয়েছেন, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।

স্যালাইন-কাণ্ডে সোমবার জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। তার মধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্বিতীয়টির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্য জানান, সব হাসপাতালে রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কোন কোন রোগী এই স্যালাইন ব্যবহার করেছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরকে রিপোর্ট দিতে হবে। কেন্দ্র জানাবে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্ণাটক যে ১২টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তারও রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম প্রশ্ন করেন, ফার্মা কোম্পানির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য? বিচারপতি জানতে চান, “আপনারা কি ফার্মা কোম্পানিকে নোটিস দিয়েছেন?” রাজ্য জানিয়েছে, না এই মর্মে নোটিস দেওয়া হয়নি। বিচারপতিরা বলছেন, “যে মুহূর্তে রোগী মারা গেলেন আপনাদের উচিৎ ছিল নোটিস দেওয়া। এত দেরি হল কেন?” রাজ্য বেনিফিট অফ ডাউট দিচ্ছে কী করে, এটা তো ওয়েল ফেয়ার স্টেট, তাই না? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।

প্রধান বিচারপতির আরও মন্তব্য, “কোনও রেস্তোরাঁয় ফুড সেফটি অথরিটি অফিসার যদি গিয়ে দেখেন মাংস নষ্ট হয়ে গেছে কী করবেন? সঙ্গে সঙ্গে সেটা বন্ধ করা উচিৎ। যাতে কেউ সেই খাবার না খেয়ে অসুস্থ হন।” বিচারপতি আবারও বলেন, “যে মুহূর্তে রোগী মারা গেলেন আপনাদের উচিত ছিল নোটিস জারি করা।  আগামী ৩০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।