খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৩ জানুয়ারি, কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় বিষাক্ত স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে এবার আদালতের হস্তক্ষেপে তদন্ত চেয়ে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার একটি জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।
দ্বিতীয়টির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এডুলজির মামলাটি আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।সম্প্রতি একই দিনে সিজ়ার হওয়া পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।
তাঁদেরই এক জন মামনি রুইদাসের (২২) মৃত্যু হয় শুক্রবার সকালে। অপর এক জনের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে জেনারেল শয্যায় পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
এসবের জেরে এই মুহূর্তে রিঙ্গার ল্যাকটেট নামে ওই স্যালাইনই বিতর্কের কেন্দ্রে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, আগেই এই স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তা ব্যবহার করা হচ্ছে? কেনই বা সকলের চোখের আড়ালে তা উৎপাদন করা হতো? সেসব প্রশ্নের এখন উত্তর অধরা। এনিয়ে নবান্নে আজই রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।
আইনজীবী এডুলজি উচ্চ আদালতে অভিযোগ করে বলেন, এ রাজ্যের এক সংস্থার খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন ওই সংস্থাকে বাতিল করে দেয় কর্নাটক সরকার। আর সেই স্যালাইন দেদারে দেওয়া হচ্ছে বাংলার রোগীদের। শুধু তাই নয় আরজি কর হাসপাতালে চলতি মাসেও এই স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে। আইনজীবীর এই মন্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। রাজ্য সরকার সম্ভবত কোনও পদক্ষেপও করছে।’