খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১১ অগাস্ট, কলকাতাঃ প্যানেল প্রকাশ হওয়ার পরও মেলেনি চাকরি। ১৪ বছর আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত ওই মামলায় অবিলম্বে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ও বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৩০ অগাস্টের মধ্যে ওই সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।
এদিন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিতেই ১৫০৬ জনকে নিয়োগপত্র পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার ডাকবিভাগ মারফত প্যানেলে নাম থাকা নির্বাচিত প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি নিয়োগপত্র যেতে শুরু করেছে। ২০০৯ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ১৫০৬টি পদে নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এদিন হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেলেন ১৫০৬ জন চাকরিপ্রার্থী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিতকুমার নায়েক জানান, ‘‘প্রথমদিন ২০০ জনকে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে অবশিষ্টদেরও পাঠানো হবে। যেহেতু ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তি তাই কাউন্সিলিং হয়নি। তবে প্রার্থীদের যাতায়াতে সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁর নিজের ব্লক বা মহকুমা এলাকার যে সমস্ত স্কুলে শূন্যপদ ছিল সেখানেই দেওয়া হয়েছে।’’
বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে ছুটির দিনেও প্যানেলে থাকাদের নিয়োগপত্র পাঠানোর কাজ চলতে থাকবে বলে অজিত নায়েক জানান। গতবছর আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তা পালন না-করায় শিক্ষা সচিবের রিপোর্ট তলব করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন আদালতে সচিবের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ৮ তারিখে ১,৪০৩টি সুপার নিউমেরিক পদ পূরণের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আগেই ১০৩টি শূন্যপদ রয়েছে। তাহলে মোট পূরণের পদ দাঁড়ায় ১,৫০৬টি শূন্যপদ। সচিবকে ফের নিয়োগের বিষয়ে ৩০ অগাস্ট রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।