খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১০ অগাস্ট, কলকাতাঃ কলকাতা হাই কোর্টে স্বস্তি মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও জরিমানা দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা খারিজ হয়ে গেল ডিভিশন বেঞ্চে। প্রাথমিক ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আপাতত জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।
একাধিক মামলায় ধাপে ধাপে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু তিনি সেই জরিমানা জমা করেননি বলে অভিযোগ। তিন মাস কেটে যাওয়ার পরেও টাকা না দেওয়ায় মানিকের নামে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেছিলেন, দেশ-বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি রয়েছে সব বাজেয়াপ্ত করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। উল্লেখ্য, সহিলা পারভিন নামে এক টেট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় তাঁর ওএমআর শিট চেয়েও পাননি তিনি। নির্ধারিত টাকাও দিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই মানিক ভট্টাচার্যকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেছিলেন, যতদিন না তিনি জরিমানা জমা না দিচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা থাকবে। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।
শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। ফলে ইডি আর মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। তবে আদালতের নির্দেশ মামলাকারীকে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী সমস্ত তথ্য দিতে হবে পর্ষদকে। ওএমআর শিট-সহ আর যা যা তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, সঠিক ভাবে সেই নথি দেখাতে হবে। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে এই তথ্য দেখাতে পারবে পর্ষদ। আদালতের এই রায়ের ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে তৃণমূল বিধায়ক। গত মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মানিকের স্ত্রী শতরূপা।