খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৭ অগাস্ট, বেঙ্গালুরুঃ চাঁদের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল চন্দ্রযান-৩। বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে মহাকাশযান থেকে ইতিমধ্যে পৃথক হয়ে গিয়েছে তার ল্যান্ডার বিক্রম। ইসরোর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২৩ আগস্ট ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের পিঠে নামবে।
যদিও মহাকাশযান থেকে ল্যান্ডারের পৃথক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার অবতরণ প্রক্রিয়া। এখন চাঁদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বিক্রম ল্যান্ডার। এবার এলাকা প্রদক্ষিণ করবে এবং ধীরে ধীরে অবতরণ দিকে অগ্রসর হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নির্ধারিত সময়ের আগেই রোভার প্রজ্ঞানকে নিয়ে চাঁদের পিঠে নামতে পারে ল্যান্ডার।
চন্দ্রযান-২ এর ক্ষেত্রেও এই ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়ার প্রক্রিয়াটি সফলভাবেই হয়েছিল। তবে গোলযোগ বেধেছিল ল্যান্ডিংয়ের সময়। তাই এবার আর কোনও ত্রুটি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি ক্রমাগত খতিয়ে দেখার কাজ করে চলছে ইসরো। ল্যান্ডিংয়ের জন্য ৫০০ বর্গমিটারের বদলে ৪ কিমি x ২.৪ কিমি এলাকা বেছে নেওয়া হয়েছে। ল্যান্ডার বিক্রমে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জ্বালানিও।
১৪ জুলাই দুপুর ২.৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে সম্পন্ন হয় চন্দ্রযান তিনের উৎক্ষেপণ। চন্দ্রযান-3 সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করলে, ভারত হবে পৃথিবীর চতুর্থ দেশ যারা চাঁদে পৌঁছাবে। চন্দ্রযান-৩ এ আছে একাধিক ইলেকট্রনিক এবং যান্ত্রিক সাবসিস্টেম। চন্দ্রযান–২ এর ল্যান্ডিং সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়েই নেভিগেশন সেন্সর, প্রপালশন সিস্টেম, নির্দেশকেন্দ্র এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে আরও উন্নত প্রযুক্তিতে সাজানো হয়েছে। ল্যান্ডার বিক্রমের পাশাপাশি রোভারকেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ডিজাইন করা হয়েছে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা রয়েছে, চন্দ্রযান-৩ এর। কীভাবে কয়েক কোটি বছর ধরে সেখানে বরফ জমে রয়েছে। সূর্যের বিকিরণে কেন তা আজও গলে যায়নি, সেই বিষয়টিও পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখবে। ২৩ অগাস্ট প্রিলোড করা কমান্ডগুলি ট্রিগার হওয়ার পরে, ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের পৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করবে। অবতরণ যাতে ঠিকমতো হয়, তার জন্য সমস্ত রকমের পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে ইসরো।