বাংলাকে চমকানো, ধমকানো যাবে না, কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

0
139

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৪ অগাস্ট, কলকাতাঃ সোমবার আলিপুরের ধনধান্য স্টেডিয়াম থেকে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ফের সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন “বাংলাকে ধমকানো চমকানো যাবে না।” অন্যদিকে বক্তৃতা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান দেন “জয় বাংলা, জয় ইন্ডিয়া”।

প্রত্যেকবারই কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয় ১৪ই অগাস্ট। এবার কন্যাশ্রী দিবসের ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ১০ কেজি ওজনের সন্দেশ কেটে কন্যাশ্রী দিবস উদযাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প তথা নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।

এ দিন এই অনুষ্ঠানে সফল কন্যাশ্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি একদিন এটা ইন্টারন্যাশনাল গার্লস চাইল্ড ডে হিসেবে পালিত হবে ।” এইদিন কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন “স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বাধীনতার লড়াই সবটাই কিন্তু বাংলা থেকে হয়েছিল। কোনদিন যদি আন্দাবান-নিকোবর জেলে যাও, দেখবে যত নাম আছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ নাম আছে বাংলার। আর বাদ বাকি পাঞ্জাবের। সুতরাং বাংলা যে স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন লাগে না।”

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার মেধা এগিয়ে চলুক। কেউ যেন থামাতে না পারে। বাংলাকে যেন কেউ চমক দেখাতে না পারে। বাংলাকে আমরা চমক দেখাব, উন্নয়নের সঙ্গে। বাংলাকে ধমকানি নয়, চমকানি নয়। বাংলা আমার কাছে আমার ঘর। আমার ঘর, মায়ের শাড়ির আঁচল, আম্মার শাড়ির আঁচল। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সবাই একসঙ্গে থাকবে। বাংলা সংহতির এক প্রধান কেন্দ্র।’’

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাঁর পরামর্শ, ‘মাঝে মাঝে পড়ুয়াদের নিয়ে আলিপুর মিউজিয়াম ঘুরে যাবেন। আলিপুর জেলকে আমরা মিউজিয়ামে পরিণত করেছি স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে। সেখানে ক্ষুদিরামের ফাঁসির জায়গা দেখতে পাবে এখনও।’

মঞ্চে উপস্থিত থাকা ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তৃতার শেষে নিজের লেখা কবিতা বই থেকে দুটি কবিতাও পাঠ করেন। বলেন, কোন প্রেক্ষাপটে, কেন তিনি এই কবিতাগুলি লিখেছিলেন। পড়ুয়াদের সময় পেলেই ভাবতে বলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here