খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৩ জানুয়ারি, নয়াদিল্লি: হাড় কাঁপানো শীত ও চরম আবহাওয়ার মধ্যেই পূর্ব লাদাখে সামরিক মহড়া শুরু করে দিল চিন। সূত্রের খবর, বরফে ঢাকা এলএসিতে অত্যধিক উচ্চতায় পিপল লিবারেশন আর্মির ঝিংজিয়ান সেনা কমান্ডোর একটি রেজিমেন্ট যুদ্ধ মহড়া সম্পন্ন করেছে। লাদাখের মতো চরম আবহাওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের প্রস্তুত করতেই এই অনুশীলন।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সতর্ক হয়ে উঠেছে ভারতীয় সেনা। ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চিনা জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছিল। ২০২৪-এর অক্টোবরে দিল্লি ও বেজিং এলএসি থেকে সেনা পিছোনো ও কমানোর বিষয়ে একমত হয়। তার মধ্যেই এবার জানা গেল, এলএসির কাছে চিন সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্রে চরম আবহাওয়ায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করে নিতে এই মহড়া চালায় পিপল লিবারেশন আর্মির ঝিংজিয়ান সেনা কমান্ডোর একটি রেজিমেন্ট। যেখানে অস্ত্রশস্ত্র হাতে যুদ্ধ অনুশীলনের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়েছে সেনার গাড়ি, ড্রোন-সহ আরও নানা অস্ত্রশস্ত্র। শুধু তাই নয়, চরম অবস্থায় টিকে থাকতে শারীরিক ও মানসিক অনুশীলনও করানো এই রেজিমেন্টকে।
পাহাড়ের এত উঁচুতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ায় এটা স্পষ্ট যে লাদাখ সীমান্তে ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কোনও ছক শুরু করেছে সি জিনপিং। হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতও৷ ভারতীয় জওয়ানরা সীমান্ত পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করতে এবং সেনাদের দ্রুত মোতায়েনের জন্য নতুন রাস্তা, সেতু এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷
এছাড়াও, সীমান্তে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ স্যাটেলাইট চিত্র, ড্রোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে৷ সীমান্তে K9 বজরা হাউইটজার্স, S-400 ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। চিনের আগ্রাসন নীতির অরুণাচল ও লাদাখে চিনের আগ্রাসন নীতি বরাবরই মাথাব্যাথার কারণ ভারতের কাছে।