‘বাংলায় মেয়েদের উপর অত্যাচার হলে রাম-রহিম কাউকে ছাড়ি না’, বসিরহাটে কড়া বার্তা দিলেন মমতা 

28

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২১ মে, বসিরহাট: আগামী ১ জুন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে মঙ্গলবার দলীয় প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলামের সমর্থনে বসিরহাটে নির্বাচনী প্রচার করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে রীতিমতো কড়া বার্তা দিলেন তিনি।

মমতা বলেন, “উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। দলিতদের উপর অত্যাচার হয়েছে। আমাদের এখানে হয় না। আমাদের এখানে যে দু’-একটা ঘটনা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নিই। রাম হোক বা রহিম কেষ্ট হোক বা বিষ্টু। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকে ছা়ড়া হয় না।’’

মমতার কথায়, ”সন্দেশখালির মা-বোনদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমি দুঃখিত। মা-বোনদের নিয়ে যেন অসম্মানের খেলা কেউ না খেলে। ভোটের আগে বিজেপির প্ল্যান-এ ছিল সন্দেশখালি। বাতিল হয়ে গিয়েছে। মা বোনেরাই বাতিল করে দিয়েছেন।”

বসিরহাটের সভা থেকে মাছের ভেড়ি নিয়েও বার্তা দেন মমতা। যা সন্দেশখালির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কারণ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মাছের ভেড়ি জবরদখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেক্ষেত্রে সরাসরি শাহজাহানের নাম না নিলেও মমতা স্বীকার করে নেন যে অনেকের মাছের ভেড়ি ‘দখল’ করে নেওয়া হয়।

মমতার বক্তব্য, ‘‘এমনিতে সন্দেশখালি দ্বীপাঞ্চল, এখানে অনেকটা ভিতরের জায়গা। এখানে অনেক মাছের ভেড়ি আছে। অনেকে অনেকের ভেড়ি দখল করে নেয়। আমরা তাই একটা পলিসি তৈরি করছি। জোর করে ভেড়ি কেড়ে নেওয়া যাবে না। যার ভেড়ি, সে চাষ করুক। না হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো চালাক। কিন্তু সরকারের রেকর্ডে নাম রাখতে হবে।  সরকারকেও তার জন্য একটা শুল্ক দিতে হবে। তাতে ভেড়িতে অধিকার বজায় থাকবে।”

বসিরহাটে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নুরুলকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল ৷ সিপিআই প্রার্থী অজয় চক্রবর্তীকে ৬০ হাজার ভোটে হারান তিনি ৷ এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হন ইদ্রিশ আলি ৷ ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে প্রার্থী করে দল ৷ এবার ফের নুরুলকে প্রার্থী করা হয়েছে ৷ তাঁর বিপক্ষে লড়ছেন সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ বিজেপির রেখা পাত্র।