খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ২০ জানুয়ারি, কলকাতা: আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। যদিও এই ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা সর্বোচ্চ সাজার যোগ্য, এমনই মনে করেন অধিকাংশ নাগরিক। তাই সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার পর অনেকেরই মন ভেঙে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও আশাহত হয়েছেন। তা গোপনও করেননি।
সাজা ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি এখনও ফাঁসির দাবিতে অনড়। যাবজ্জীবন না হয়ে ফাঁসির সাজা হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতেন বলে আক্ষেপ করলেন তিনি। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে পরোক্ষ ভাবে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বললেন, ”আমরা প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি করেছিলাম। এখনও তাই করছি। আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তো তিনটে মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি, ৫৪ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিবিআই কী ভাবে কেসটাকে সাজিয়েছে সেটা তো আমি বলতে পারব না। নথি না দেখে এব্যাপারে মন্তব্য করা উচিত নয়।’ আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সোমবার সাজা ঘোষণা করেছেন শিয়ালদহ আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অনির্বাণ দাস। সাজা ঘোষণার সময় তিনি বলেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম শ্রেণিতে পড়ে না। এই ঘটনায় যে ৩টি ধারায় সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ৩টি ধারাতেই তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।