খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৮ অগাস্ট, সিমলা: বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। চলতি সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১। ধসে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে একটি পরিবারের। ওই পরিবারের তিন প্রজন্মের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
গত সোমবার স্ত্রী, পুত্র, নাতি, নাতনিদের নিয়ে শিমলার সামার হিলের শিব বাওয়ারি মন্দিরে এসেছিলেন বৃদ্ধ পবন। মন্দিরে পুজো করার সময়ই ঘটে যায় সেই দুর্ঘটনা। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মাটির নীচে ধসে যায় মন্দিরের একাংশ। পবনের পরিবারের তিন প্রজন্মও সেই ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে।
পুজো করতে এসে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁদের। তার পর থেকে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছেন পবনের ভাই বিনোদ। দাদার পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেহ উদ্ধার করা গেলেও এখনও দু’জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই ধ্বংসাবশেষ থেকে দেহ উদ্ধার হলেই ছুটে যাচ্ছেন তিনি।
তাঁর শুধু একটাই প্রার্থনা—যেন নিখোঁজ দু’জনের দেহও উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। দাদার পরিবারের সকলের শেষকৃত্য যেন ভাল ভাবে করতে পারেন তিনি। সেদিন পবনদের পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর ছোট বোনেরও। তিনি যাননি, প্রাণে বেঁচে গেছেন। কান্নায় ভেঙে পড়ে বলছিলেন, ‘আমার কপালে মৃত্যু লেখা ছিল না, তাই আমি বেঁচে গেলাম।’
একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো উত্তর ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলি। লাগাতার বর্ষণে একাধিক এলাকায় নামছে ধস। ভেঙে পড়ছে বড় বড় বাড়ি। আগামী কয়েকদিন রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে মৌসম ভবন। আপাতত জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে। নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।