খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৮ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার একদিন পরই দিল্লির ১২ তুঘলক লেনের সরকারি বাসভবন পুনরায় বরাদ্দ করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির জন্য। মঙ্গলবার সকালেই লোকসভা হাউস কমিটি রাহুল গান্ধীকে তাঁর পুরনো বাংলোটি পুনর্বরাদ্দ করে।
মোদি পদবি নিয়ে ফৌজদারি মানহানির মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায় স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই সাংসদ পদ এবং সরকারি বাসভবন ফিরে পেলেন রাহুল। এদিন বিকেলে অসমের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য এআইসিসি সদর দপ্তরে আসেন রাহুল। সেখানেই বাসভবন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় রাহুল বলেন, “মেরা ঘর পুরা হিন্দুস্তান হ্যায়”।
মোদি পদবি নিয়ে ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাটের এক দায়রা আদালত। তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জেলের সাজা ঘোষণার পরেই ওই বাংলো থেকে রাহুল তাঁর মালপত্র সরানো শুরু করেছিলেন।
২০ এপ্রিল সুরাতের দায়রা আদালত ‘মোদি’ পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে সাজা বহাল রাখার পরেই সাংসদ হিসাবে পাওয়া দিল্লির বাংলো ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তিনি থাকছিলেন, মা সনিয়া গান্ধির ১০ জনপথ রোডের বাসভবনে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ, তাঁর নিজের একটি বাড়ি রাহুলকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পাওয়া রাহুলের উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অধিকারিকেরা। এই পরিস্থিতিতে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় সেই সমস্যা মিটল বলেই মনে করা হচ্ছে।
বস্তুত, রাহুল ছেড়ে দেওয়ার পরেও ১২ তুঘলক লেনের বাংলোটি কাউকে বরাদ্দ করেনি লোকসভার সচিবালয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে সেই বাংলোই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে এই বাড়িতেই থাকতেন ওয়ানাড়ের সাংসদ।