খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় সংবিধান নিয়ে আলোচনায় বি আর আম্বেদকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্ক চলাকালীন রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এখন এক ফ্যাশন হয়েছে- আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এতবার যদি ভগবানের নাম নিত তব সাতজন্ম স্বর্গবাস হয়ে যেত।”
আরও বলেন, “জহরলাল নেহরুর সঙ্গে আম্বেদকরের বহু মতপার্থক্য ছিল। তাই তিনি নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশ্ন, “১০০ বার ওর (বিআর আম্বেদকর) নাম নিলেও কিন্তু ওঁকে নিয়ে আপনাদের কী আবেগ ছিল? তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতিদের প্রতি সরকারের আচরণ নিয়ে খুশি ছিলেন না আম্বেদকর।” তার পরই শাহের ‘ফ্যাশন’ মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
বুধবার সংসদের দুই কক্ষেই এই নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদেরা। তাঁদের তরফ থেকে মুলতুবি প্রস্তাবও আনা হয়। দাবি, অবিলম্বে শাহকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। হইহট্টগোলের কারণে রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন স্থগিতও হয়ে যায়। কংগ্রস ছাড়াও অম্বেডকর বিতর্কে এ বার শাহকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, অম্বেডকরের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করে গণতন্ত্রের মন্দিরকে অপমান করেছেন শাহ।
বুধবার সকালে সংসদের বাইরে কংগ্রেস সাংসদেরা অম্বেডকরের ছবি হাতে বিক্ষোভ দেখান। ‘জয় ভীম’ স্লোগান তোলেন তাঁরা, যাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় সংসদ চত্বরে। রাজ্যসভার সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের অভিযোগ, শাহ সংবিধানের জনক অম্বেডকরকে অপমান করেছেন। অবিলম্বে তাঁকে সে জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। একই সঙ্গে শাহের পদত্যাগের দাবিও তুললেন খড়্গে।
যদিও বিরোধীদের এই বিক্ষোভকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজেজু। তিনি বলেন, “শাহ তাঁর বক্তব্যে আম্বেদকরকে প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। কংগ্রেস তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ কেটে প্রচার করছে। এত বছর ধরে কংগ্রেস তাঁকে (অম্বেডকর) ভারতরত্ন দেয়নি এবং সেই সঙ্গে তারা বাবা সাহেবকে অপমানও করেছে।”