খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৭ জানুয়ারি, কলকাতা: হুগলির গুড়াপে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হল দোষীর। শনিবার এই রায় শোনালের চুঁচু়ড়া পকসো আদালতের বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী। ঘটনার ৫৫ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করল চুঁচুড়া আদালত।
গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ৫ বছরের ওই শিশু। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরও মেয়েটির হদিস না মেলায় পরিবারের লোকেরা ডাকেন প্রতিবেশীদেরও। সকলে মিলে এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে গিয়েই অশোক সিং নামে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এর পরেই অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ গ্রেপ্তার করে প্রৌঢ়কে।
শিশুকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গত ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। চার্জ গঠন হয় ১১ ডিসেম্বর। এর পর এক মাসের মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ-সহ গোটা বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়। গত বুধবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী। আর আজ ফাঁসির সাজা ঘোষণা হল চুঁচুড়া আদালতে।আদালতের রায়ের পর কেঁদে ফেলেন নির্যাতিতার মা।
কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘আজ মেয়েটার জন্মদিন। জন্মদিনে কেক খেতে চেয়েছিল মেয়েটা! সেটা তো আর খাওয়াতে পারলাম না।’’ তবে পুলিশি তদন্ত এবং আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে খুশি তিনি। বলেন, ‘‘পুলিশের উপরেই সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।’’
দোষীর ফাঁসির সাজা হওয়ার পরেই এক্স হ্যান্ডলে টুইট করেছেন পুলিশ প্রশাসন এবং বিচারবিভাগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘গুড়াপে শিশুকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছে। এর জন্য বিচারবিভাগকে আমি ধন্যবাদ জানাই। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ দ্রুত এবং সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত শেষ করায় ৫৪ দিনেই বিচার এল।’’ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও লিখেছেন, ‘‘বাংলায় দ্রুত এবং আপোষহীন ভাবেই মেলে ন্যায়বিচার।’’