খবরিয়া নিউজ ডেস্ক, ১৮ই আগস্টঃ এস এফ আই অফিসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হামলার ঘটনায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সহ একাধিক নেতৃত্বের জেল। বুধবার রাতে টিএমসিপি দ্বারা এস এফ আই অফিস দখলের ঘটনায় বর্ষিয়ান বামপন্থী নেতাদের জেল।
এই ঘটনায় পুরো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলা জুড়ে। বুধবার কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এস এফ আই এর হাতে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রীর আক্রান্ত হবার ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভসভা অনুষ্ঠিত হয় কদম তলায়, সেই সভা থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা এস এফ আই এর অফিস দখলের ডাক দেয়। সেই মোতাবেক ছাত্র পরিষদের কর্মীরা চড়াও হয় জেলা সিপিআইএম কার্যালয়ে বলে অভিযোগ।
ছাত্র পরিষদের কর্মী এবং বামপন্থীর ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বসা শুরু হয় পরে যা মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। উত্তরবঙ্গের চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম বামপন্থী নেতা জিয়াউর আলম জেলার সিটু নেতা পীযূষ মিশ্র সহ একাধিক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে পুলিশকে আক্রমণ পাথর ছুড়ে আঘাতসহ একাধিক অভিযোগ এনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজ করে।
বৃহস্পতিবার জেলা আদালত অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে একুশে আগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের আদেশ দেয়। এরপরই জলপাইগুড়ির রাজপথ প্রায় স্তব্ধ করে দিয়ে এক সুবিশাল ধিক্কার মিছিলের মধ্য দিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে জেলবন্দি করার ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে।
এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিআইএম নেতা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশের সাহায্যে। বামপন্থীরা রাস্তায় নেমে এর জবাব দিচ্ছে। জেলা জুড়ে এই আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।