খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৭ জানুয়ারি, কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে গতকাল ওই হাসপাতালের সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করল সিআইডি। সম্প্রতি মেদিনীপুরে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং চার প্রসূতির গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাকে ঘিরে শোরোগোল তৈরি হয়। পরে মৃত্যু হয় এক সদ্যোজাতরও।
ঘটনার তদন্তে নেমে মেদিনীপুরে চিকিৎসকদের গাফিলতির বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। এরপরই মেদিনীপুরের সুপার-সহ ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ডের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “মানুষের জবাব চাওয়ার অধিকার আছে। যেখানে অন্যায় হয়, সেখানে কথা উঠবেই। আমরা যেমন চিকিৎসকদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তেমনি মানুষের দিকটাও দেখতে হবে। তাই তদন্তের সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাউকেই ছাড়া হবে না।”
পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন যে স্বাস্থ্যদপ্তর ও সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চলবে। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের কোতওয়ালি থানায় অনিচ্ছাকৃত খুন, কাজে গাফিলতি, সরকারি কর্মচারী হয়ে আইন না মেনে কারও ক্ষতি করার মতো একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে সিআইডি।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় যায় সিআইডির দল। শুক্রবার সকালেই কোতোয়ালি থানায় কেস ডায়েরি হস্তান্তর করা হয়। স্যালাইনকাণ্ডের সরকারিভাবে তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। মেদিনীপুর মেডিক্যালসের নতুন এমএসভিপির সঙ্গে কথাও বলেন তারা। এর আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।