খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৩ সেপ্টেম্বরঃ এবার কি জন শোষণ, জন নিপীড়নের পথেই কি এবার হাঁটতে চলেছে বর্তমান সরকারের একাংশ নেতা মন্ত্রীরা! এরকমই রাজ্যের এক মন্ত্রী হলেন বিকাশ দেববর্মা! এই বিকাশ বাবু প্রায় দেড় বছরের মন্ত্রিত্বের সময়কালে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এতটাই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার চা’স্টল থেকে শুরু করে একেবারে বিধানসভা পর্যন্ত বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার দুর্নীতি!
এখানে উল্লেখ্য, বিগত বিধানসভা অধিবেশনে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার আর্থিক দুর্নীতির উপাখ্যান তুলে ধরেছিলেন বিধানসভা অধিবেশনে। তারপরেই তোলপাড় হয়ে উঠে রাজ্য রাজনীতি। মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার দুর্নীতির উপাখ্যান ফলাও করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম গুলিতে প্রচার করা হলেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে নিশ্চুপ রাজ্য বিজেপি। কেন এমনটা? তবে কি পঁচিশ বছরের বাম জমানার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে রাজ্যে? এনিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের চা’স্টল গুলিতে রাজ্য সরকারের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই, বইছে সমালোচনার ঝড়।
মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে মন্ত্রী বাবু ময়দানে নামিয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণপুর বিধানসভার একাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দ্বারা ভুল বুঝিয়ে সহজ সরল দলীয় কর্মীদের। যার তথ্য প্রমাণ হলো, শুক্রবার মন্ত্রী বিকাশের কৃষ্ণপুর বিধানসভায় বিক্ষোভ মিছিল না করে পার্শ্ববর্তী বিধানসভা তেলিয়ামুড়ায় এসে বিক্ষোভ মিছিলের নামে রীতিমতো জাতীয় সড়ক স্তব্ধ করে উদ্যামতা সংঘটিত করে বিজেপি পরিচয় ধারী একাংশ লোকজন।
তবে এই মিছিলে কেন এসেছেন? মিছিলের উদ্দেশ্যই বা কি? সে বিষয়েও অনেকেই অবগত নন। অভিযোগ, এলাকার স্থানীয় মেম্বার প্রধানেরা সাধারণ বিজেপি কর্মীদের রিতীমতো হুলিয়া জারি করে মিছিলে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করে। এই মিছিলে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ লোক জানেই না কি কারনে তারা মিছেলে হাঁটছে, কি উদ্দেশ্যেই বা মিছিলটি করা হচ্ছে। মিছিলে উপস্থিত অনেক বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য,, মিছিলে এলে হাজিরা দেওয়া হবে একথা বলে মিছিলে অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগও সামনে এসেছে।এতকিছুর পরেও যদি রাজ্য বিজেপি নিশ্চুপ থাকে তাহলে আর বলার অপেক্ষা রাখে নাl