প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নিখোঁজ গৃহবধূর গলাকাটা দেহ, গ্রেপ্তার শ্বশুর-শাশুড়ি

40

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৯ অগাস্ট, বাঁকুড়াঃ পুত্রবধূর গলার নলি কেটে খুন করে দেহ লোপাট করতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্কে। শনিবার, নিখোঁজ ওই গৃহবধূর দেহ বাঁকুড়ার ঢেকিয়া গ্রামের প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতার শ্বশুর এবং শাশুড়িকে।

বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের ঢেকিয়া গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম মোনালিসা ঘটক।  জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটক ও মোনালিসার বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে শালতোড়া থানায় তার স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান।

স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পরেই কাজু ঘটকের বাবা সুজিত ঘটক ও মা ইতু ঘটকও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশকে জানান তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই মোনালিসার শ্বশুর শাশুড়ির খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজুর বাবা এবং মায়ের সন্ধান পায় পুলিশ।

বিষ্ণুপুর থানার হিংজুড়ি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে দু’জনকে আটক করে শালতোড়া থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে কাজুর বাবা এবং মা মোনালিসাকে গলার নলি কেটে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। এর পরেই তাঁদের নিয়ে ঢেকিয়া গ্রামে যায় পুলিশ।

এর পর তাঁদের প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মোনালিসার দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি, দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই খুন বলে অনুমান।”