খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৭ জুন, জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর কালেই মৃতদেহ ময়না তদন্তের কাজ বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসকেরা। লাশের পাহাড় মর্গে, দুর্গন্ধ, চরম হয়রানির শিকার মৃতদের পরিবারের সদস্যরা।
বেশ কয়েক মাস ধরেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ম মাফিক জেলা পুলিশ এবং পুর প্রশাসনের কাছে আবেদন করে জানিয়েছিলেন দ্রুত মর্গে থাকা বেওয়ারিশ লাশগুলোর সদগতি করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এদিকে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং মৃতদেহ গুলোতে পচন ধরায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের লাগোয়া পুলিশ মর্গে।
সোমবার জেলার বিভিন্ন থানা থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে পাঠালেও বিকেল তিনটে পর্যন্ত কোনো মৃতদেহের ময়নাতদন্তের কাজ করতে আসেননি কোনো চিকিৎসক।
মর্গে বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষারত কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত ডেঙ্গুয়া ঝাড় চা বাগানের বাসিন্ধা সুরেশ লাকরা বলেন, “অনেকদিন পর আমাদের আত্মীয়ের মৃতদেহের খোঁজ মিলেছে। এখন ডাক্তারবাবুরা কাজ বন্ধ করে দিলেন। আমরা কী করব বুঝতে পারছি না।”
অপরদিকে এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ভাস্কর ভট্টাচার্য টেলিফোন বলেন, “২০১৮ সাল থেকে মৃতদেহ মর্গে পড়ে আছে ডিসপোজাল হয়নি, বহু বার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি, মর্গে দুর্গন্ধ এবং মানব শরীরে জন্ম নেওয়া ম্যাগোট পোকা ভরে গিয়েছে, এমন পরিবেশে ময়না তদন্তের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হলাম আমার।” জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, তিনি পুলিশ ও পুরসভা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন।