খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২০ অগাস্ট, কলকাতাঃ ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল যাদবপুর। এমন আবহে আচমকা পদত্যাগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটির প্রধান তথা ডিন অফ সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সুবিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই পদত্যাগ ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আট সদস্যের সেই কমিটির মাথায় ছিলেন সুবিনয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপকেরাও এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন। তাঁরা নিজেদের মতো করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছিলেন।
ঘটনার পর সুবিনয় কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে একাধিক বার হস্টেলে গিয়েছিলেন। সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। একাধিক বার বৈঠকও করেছেন। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই মতানৈক্য ছিল। সূত্রের খবর, কমিটির ৩৫ পাতার রিপোর্টে দেখানো হয়েছিল ‘আত্মহত্যা’র তত্ত্ব। এই তত্ত্বে সন্তুষ্ট নন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশই। এমন আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি সামনে আসে।
শোনা যায়, বুদ্ধদেব সাহুর পাশাপাশি উপাচার্যের দৌড়ে ছিলেন সুবিনয়বাবুও। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর কমিটির বৈঠকেও এই দুই নাম নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু শনিবার বুদ্ধদেব সাহুকেই নয়া উপাচার্য করলেন আচার্য। তারপরই ইস্তফা দিলেন সুবিনয় চক্রবর্তী।
গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল যাদবপুর এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জন পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসবের মধ্যেই শনিবার রাতে রাজ্যপাল এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সি ভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগ করেন সেখানকার গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে। ৩১ মে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সুরঞ্জন দাস। ৪ আগস্ট অস্থায়ী উপাচার্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তও ইস্তফা দেন।