খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৬ অগাস্ট, কলকাতাঃ যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ডিন অফ স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে তলব করল লালবাজার। বুধবার দুপুর তিনটেয় জয়েন্ট সিপি ক্রাইম ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে ডেকে পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর ঘটনায় নয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই নানাবিধ প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডিন অফ স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারের থেকে ঠিক কী কী জানতে চাওয়া হবে সে সংক্রান্ত একটি প্রশ্নমালাও তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ জানতে চায় ঘটনার রাতে ফোন করা সত্ত্বেও কেন তড়িঘড়ি ডিন অফ স্টুডেন্টস ঘটনাস্থলে যাননি? বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বুল্যান্স থাকা সত্ত্বেও কেন সেটিকে কাজে লাগানো হয়নি? কেন হলুদ ট্যাক্সি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল জখম ওই পড়ুয়াকে? প্রাক্তনী এবং নতুন পড়ুয়ারা যে একসঙ্গে হস্টেলে রয়েছেন, তা কেন আগে জানতে পারল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? কেনই বা রেজিস্ট্রার ঘটনার কথা আগে জানতে পারলেন না? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হবে তাঁদের থেকে।
এদিকে, বুধবার বিকেল ৫টায় রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাজভবনে জরুরি বৈঠকে বসছেন। গত ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচে বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। র্যাগিংয়ের কারণে মৃত্যু বলে অভিযোগ করে ছাত্রের পরিবার।
ছেলের মৃত্যুতে হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত ছাত্রের বাবা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির র্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি অমান্য করার কারণও দর্শাতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়কে শো-কজ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সুপ্রিম কোর্ট র্যাগিং সংক্রান্ত যে নির্দেশ দেয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তা অমান্য করা হয়েছে। র্যাগিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নির্দেশিকাও মানা হয়নি। এ নিয়ে রেজিস্ট্রারকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। পাশাপাশি রাজ্যের কাছেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।