খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১২ জুনঃ আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ২৪২ জনকে নিয়ে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। কিন্তু টেক অফের পরই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বহুতলের উপর বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানটি টেক অফের পরই আকাশে ওড়ার বদলে নিচের দিকে নামতে থাকে,এরপরই বিরাট আওয়াজ। মুহূর্তে বিস্ফোরণ। চতুর্দিক ঢেকে যায় ধোঁয়ায়।
জানা যায়,আমদাবাদে ডাক্তারদের হস্টেলে ধাক্কা দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের মৃত্য়ুর আশঙ্কা। আহত ১৫ জুনিয়র ডাক্তার। সংখ্যা বাড়তেও পারে। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার আগে মাটি থেকে বিমানের উচ্চতা ছিল স্বল্প। লোকালয়ে বিমান ঘোরানো সম্ভব ছিল না। ডাবল ইঞ্জিন ফেলিওরই কি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ? যান্ত্রিক গোলযোগই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে জানা গিয়েছে,দুর্ঘটনার পরই গুজরাত সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী,ডিজির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁকে ইতিমধ্যেই আমদাবাদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ওই ঘটনাস্থলে যাবেন বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নাইডু।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৭ নাগাদ আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ওড়ার সময় দুর্ঘটনাটি হয়। একদম বিমান বন্দরের শেষ প্রান্তে গিয়ে আগুন লাগে। মনে করা হচ্ছে, টেক অফের সময় গাছে ধাক্কা লাগে বিমানটির পিছনের অংশ। তাতেই আগুন লেগে যায়। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বিমান থেকে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মেঘানিনগর এলাকায় থাকা বিমানবন্দরের আশপাশের বাড়িও। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গোটা বিমানই প্রায় পুড়ে ছাই। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিমানের অংশ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। বিমানবন্দরের সমস্ত রাস্তা ও গেট আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।