খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ লোকসভায় পেশ হয়ে গেল বিতর্কিত দিল্লি সার্ভিসেস বিল। মঙ্গলবার বিলটি পেশ করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। দিল্লি সরকারের আমলাদের নিয়োগ এবং বদলি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, সেই অধ্যাদেশকে প্রতিস্থাপন করবে এই বিলে বর্ণিত আইন।
বিলের বিষয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। তিনি জানান, সংসদকে দিল্লি সম্পর্কে যে কোনও আইন পাস করার ক্ষমতা দিয়েছে ভারতীয় সংবিধান। অমিত শাহ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দিল্লি রাজ্য সম্পর্কিত যে কোনও আইন আনতে পারে সংসদ।”
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত বিলটি সংসদে পেশ করতে দেওয়াতেই আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অধীর চৌধুরী, শশী থারুর, সৌগত রায়-রা একযোগে দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন কোনও বিষয়ে এভাবে সংসদে বিল আনা যায় না। কিন্তু সেই আপত্তি উড়িয়ে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা বলেন,”সংবিধান আমাদের অধিকার দিয়েছে দিল্লি নিয়ে এই সদনে আইন তৈরি করার। তাই এই বিল পেশে কোনও বাধা থাকার কথা নয়।” এরপরই স্পিকার বিল পেশের অনুমতি দেন।
কিন্তু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি পেশ করতেই বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে অধিবেশন বেলা ৩টে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়। বুধবার বিলটি নিয়ে আলোচনা হবে সংসদের নিম্নকক্ষে। এরই মধ্যে সরকারকে স্বস্তি দিয়ে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি জানিয়ে দিয়েছে, দিল্লি সার্ভিসেস বিল নিয়ে তারা সরকারের পাশেই থাকবে।
দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলটিকে রাজ্যসভায় আটকে দেওয়াই ইন্ডিয়া জোটের লক্ষ্য। কিন্তু বিজেডি কেন্দ্রকে সমর্থন করলে সব ছকই বিফলে যাবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি। এই দুই দলের সমর্থনে অনায়াসে বিলটিকে রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিতে পারবে বিজেপি।
এই বিল আইনে পরিণত হলে, দিল্লির সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত সুপারিশে চূড়ান্ত সম্মতি দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল। ২৫ জুলাই এই বিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছিল। এর আগে গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছিল, দিল্লির প্রশাসনিক পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকবে শুধুমাত্র দিল্লির নির্বাচিত সরকারের উপর। এই আইন পাশ হলে, কার্যত সেই রায়ের কোনও মূল্য থাকবে না।