খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৮ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। তাঁকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করেছেন জগদীপ ধনকড়।
এদিন সকাল থেকেই মণিপুর ইস্যুতে তেতে ওঠে রাজ্যসভার অধিবেশন। জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন ডেরেক। তারপরেই বাদল অধিবেশন থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।
এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভাকক্ষ। ডেরেকের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাজ্যসভার কার্যাবলিতে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। চেয়ারম্যানের অবমাননা করে রাজ্যসভার শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন।
মণিপুর ইস্যুতে এদিন অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল বিরোধী দলগুলির। অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই শুরু হয়ে যায় তর্ক বিতর্ক। চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রবল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তারপরেই চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় তাঁকে সাসপেন্ড করেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।
এর আগে সোমবারও প্রবল কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন ডেরেক এবং জগদীপ ধনকড়। সেদিন রাজসভায় দিল্লি অধ্যাদেশ বিল নিয়ে বিতর্ক চলছিল। তখন ডেরেক ও ব্রায়েন সেই বিলের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও তিনি জুড়ে দিয়েছিলেন সেই বক্তব্যে। তাঁকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার জন্য অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান। যদিও তাতে কান না দিয়ে কথা চালিয়ে যান ডেরেক।
এতেই রেগে যান উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়। ধমকের সুরে তিনি বলেন, ‘এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’ বাইরে জনপ্রিয়তা পাওয়ার লোভেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদে তাণ্ডব করছেন বলে দাবি করেন ধনকড়। উত্তপ্ত কথা কাটাকাটির মাঝেই তিনি ডেরেকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘আপনি কি এখানে নাটক করতে এসেছেন?’
সোমবারের এই ঘটনার পর মঙ্গলবারও অধিবেশনের শুরুতেই গোলমাল বাঁধে। ফের ধনকড়ের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ডেরেক। তারপরেই অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে তাঁকে বাদল অধিবেশনের পুরো সময়ের জন্য সাসপেন্ড করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়।