এবছরও আদালতের নির্দেশে জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, চ্যানেল মারফত ঢালতে হবে জল

60

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৩ জুলাই, ময়নাগুড়ি : ঐতিহ্যবাহী জল্পেশের শ্রাবণী মেলায় ফের জটিলতা শুরু। আদালতের নির্দেশে এবছরেও বন্ধ থাকবে মন্দিরের গর্ভগৃহ। চ্যানেল মারফত ঢালতে হবে জল। গত বছরের মতো এ বছরেও শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শিবের মাথায় জল ঢালতে পারবেন না ভক্তরা। তার পরিবর্তে গত বছরের মতো তৈরি করা হবে চ্যানেল। যার মাধ্যমে জল গিয়ে পৌঁছবে গর্ভগৃহে। আর সেটা জায়েন্ট স্কিনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন ভক্তরা।

শুক্রবার সকালে ময়নাগুড়ি জল্পেশ মন্দিরে আসেন ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী, ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। তারা ঘটনাস্থলে এসে মন্দির কমিটির সম্পাদককে ডাকলে তিনি আসেননি। পরবর্তীতে জল্পেশ মন্দির কমিটির অফিস ঘরের দেওয়ালে কোর্টের নির্দেশিকা পত্রটি সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।

বিডিও  জানান, একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস নির্দেশ দিয়েছেন আগের বছর যে নিয়ম ছিল সেই নিয়ম বলবৎ থাকবে। এই একই নিয়মে জল ঢালা হবে। এদিন কাজ শুরু করে দেওয়া হল চ্যানেল তৈরির জন্য। জায়েন্ট স্ক্রিন বসানো হবে। এদিকে ইতিমধ্যেই সেই চ্যানেল তৈরির কাজ শুরু করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

তবে আদালতের নির্দেশিকার ফলে আপাতত টিকিট বন্ধ থাকবে ভক্তদের জন্য। যেহেতু মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে বেশ কিছু ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে ফলে তাদের খরচ বহন করতে না পারায় তাদের আপাতত বসিয়ে রাখা হবে। ফলে নিরাপত্তার পুরো বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন দেখবেন বলে জানিয়েছেন মন্দিরের সম্পাদক গিরিন দেব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে জল ঢালতে গিয়ে ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা রাজ কুমার দাস। এরপরে তিনি শ্রাবণ মাসে জল্পেশ মন্দিরে ব্যাপক ভিড় প্রসঙ্গে মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে।

মামলাটি যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এরপরে জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটিকে ডেকে পাঠিয়ে বিচারপতি নির্দেশ জারি করেছিলেন, শ্রাবণ মাসে মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ করানো যাবে না। তার বদলে চ্যানেলের মাধ্যমে শিবলিঙ্গে জল ঢালতে হবে।

জলপাইগুড়ির ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। আমরা সেইমতো ব্যবস্হা নিচ্ছি। চ্যানেল তৈরির কাজ চলছে। আমরাও চাই না যে ওখানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটুক। এর জন্য এই ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে। ”